মডেল ও অভিনেত্রী প্রভাকে নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে সারাদিন শোনা গেছে নানা গুজব। সকালে শোনা গেছে, অপূর্ব নাকি প্রভাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিনোদন বিভাগে ফোন এলো ১০-১২টা। প্রথমে বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও এতো ফোন পেয়ে বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার জন্য দুপুরে অপূর্ব ও প্রভার ঘনিষ্ঠ একজনকে ফোন করা হলো। তিনি জানালেন, তারা এখন আছেন খাওয়ার টেবিলে। ইলিশ মাছ ভাজা আর চিংড়ির চচ্চরি দিয়ে ভাত খাচ্ছেন।
প্রভা ও অপূর্ব
বিকেলে ফোন আসার মাত্রা গেল বেড়ে। শুধু ফোনই নয়, বেশ কজন সহকর্মীও চোখমুখ কালো করে জানতে চাইলো, সত্যিই কি দুর্ঘটনা ঘটেছে? এবারের গুজব ভয়াবহ। প্রভা নাকি আত্মহত্যা করেছেন? সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত্রি... চেনা-অচেনা নানা জায়গা থেকে ফোন, ঘটনা কি সত্যি? এককথা যখন দশজনের মুখ থেকে শোনা যায়, তখন সংশয় জাগতেই পারে।
বেশ কিছুদিন ধরে প্রভার সেল নম্বরটি বন্ধ। তাই অপূর্বর কাছেই ফোন করতে হলো। ... গুজব সব গুজব। প্রভা আছে, এখনো বেঁচেই আছে। আমরা এখনো একসঙ্গেই আছি এবং আশা করি আগামীতেও থাকবো। বললেন অপূর্ব। তার কন্ঠস্বরে ক্ষোভ। বললেন, বিয়ের পরে এই নিয়ে পাঁচবার গুজব উঠেছে যে প্রভা স্যুইসাইড করেছে। এই সব গুজব ছড়িয়ে আসলে কি প্রভাকে ও পথেই পা বাড়াতে প্ররোচিত করা হচ্ছে না? তারপর তিনি অতি উৎসাহী দু-একটি পত্রিকার দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন।
অপূর্ব জানালেন, প্রভা উত্তরায় তাদের পরিবারের সঙ্গেই আছেন। সুস্থই আছেন। আপাতত প্রভা ধারাবাহিক নাটক ‘রুমালী’ ছাড়া নতুন কোনো নাটকে অভিনয় করবেন না। অপূর্ব সংবাদপত্রগুলোর কাছে অনুরোধ করেন, তাদের নিয়ে মনগড়া বা কাল্পনিক লেখা না ছাপাতে। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদনের সামাজিক প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ তা অপূর্ব টের পাচ্ছেন বলে জানালেন। বললেন, তারচেয়ে বেশি টের পাচ্ছেন প্রভা নিজে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।