থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে বাড়তি দামে চাল কেনা প্রসঙ্গে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন ‘আমরা হয়তো রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। কিন্তু কী অবস্থায় আমরা বিশ্ববাজার থেকে চাল কিনেছি, তা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।’ আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘বিদেশ থেকে চাল আমদানিতে সরকারের অবস্থান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, বাংলাদেশ পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে ভারত থেকে চাল আনতে না পারায় থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে চাল আনছে। একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর চালের দাম কমলেই ওই চুক্তি বাতিল করা যায় না বলেও তিনি জানান।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল ক্রয়ের উত্স বহুমুখী করতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সরকার থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতি টন ৫৮০ ডলার দরে দুই লাখ টন চাল কিনতে চুক্তি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারদরের আলোকে আলোচনার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থা ইউএসডিএর সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, চুক্তির তিন দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সেদ্ধ চালের দাম ৪০ ডলার কমে ৪৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘বেশি দামে চাল কিনছে সরকার’ শীর্ষক প্রতিবেদন সম্পর্কে ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওই প্রতিবেদনে থাইল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তারা ৪০০ ডলারে আফ্রিকার চাল রপ্তানি করছে। একটি মূল্য চূড়ান্ত হওয়ার পর তার দর নিয়ে মন্তব্য করা যেতে পারে। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ দর বাতিল করার কোনো সুযোগ আছে কি না, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন ছিল।
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা

আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
বিশ্ববাজারে চাল ক্রয়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় অর্থ ও বাণিজ্য, বহির বিশ্ব
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।