অপূর্ব-প্রভা’র আলোচিত সংসারের ইতি!

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১১

শেষ পর্যন্ত অপূর্বের সঙ্গেও থাকা হলো না প্রভার। একূল ওকূল দু'দুকুলই হারালো প্রভা। অপূর্ব এবং প্রভা পালিয়ে বিয়ে করার পরই সবার মনেই একটা প্রশ্ন ছিল কতদিন তারা একসঙ্গে থাকতে পারবে। শেষ পর্যন্ত তাদের সর্ম্পক ২ মাসও টিকল না। সর্বশেষ খবর হল অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তারা এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না। বুধবার রাত থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেছেন এই দম্পতি।

http://www.bd-pratidin.com/admin/news_images/247/image_247_44641.jpg

কিন্তু পালিয়ে বিয়ে করার পর তারা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকায় বলেছিলেন জীবনে যত ঝড়-ঝাপটাই আসুক না কেন, আমাদের কোনোদিনও আলাদা করতে পারবে না। আমৃত্যু আমরা একসঙ্গে থাকব। এই দুই তারকার ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, প্রভার বাবা এসে প্রভাকে তার বাসায় নিয়ে গেছে। প্রভা এখন বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্যামলীর বাসায় থাকছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সম্মতিতেই দু'জনে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ দুইজনের মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল এবং প্রতিদিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। অপূর্ব কারণে অকারণে সারা রাত বাইরে থাকত। অন্যদিকে প্রভার বাসার বাইরে যাওয়া বারণ ছিল। বিয়ের পর কিছুদিন অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ভালো থাকলেও প্রভার একের পর এক নগ্ন ভিডিও প্রকাশ হতে থাকলে অপূর্ব আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অপূর্বের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানিয়েছেন, অপূর্ব এই ঘটনায় প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়েছে। সে প্রভাকে অনেক বিশ্বাস করেছিল। প্রভাও নাকি অপূর্বকে বলেছিল, রাজিবের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক থাকলেও তার সঙ্গে কোন শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু প্রভার ভিডিওচিত্র দেখে অপূর্ব অবাক হয়েছে।

এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের দাম্পত্য জীবনের কলহ। শুধু তাই নয়, প্রভাকে বিয়ে করা তার জীবনের একটি চরম ভুল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাজিব। তিনি আরো জানিয়েছেন, ভিডিও প্রকাশ হলেও এ নিয়ে প্রভার মধ্যে নাকি কোনো লজ্জাবোধ ছিল না। উল্টো অপূর্বর উপর সবসময় প্রভাব বিস্তার করতে চাইত। অপূর্ব তাকে বহুবার বাসার বাইরে যেতে নিষেধ করলেও প্রভা এ নিষেধ মানেনি। এখান থেকেই মূলত তাদের সম্পর্কের অবনতি শুরু। প্রথম দিকে তারা নাকি আলাদা বিছানায় ঘুমাত। আর এখন তো তাদের ঠিকানাই আলাদা হয়ে গেছে।

এদিকে প্রভার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রভার সঙ্গে প্রতিদিনই খারাপ ব্যবহার করত অপূর্ব। প্রভার স্বাধীনভাবে চলাফেরার উপরও নাকি বিধি নিষেধ জারি করেছিল অপূর্ব। এই পরিস্থিতিতে দম বন্ধ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রভার। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে প্রভা তার বাবাকে ফোন করে আসতে বলেন।

উভয়পরে পরিবারই অপূর্ব-প্রভার আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করলেও ডিভোর্সের ব্যাপারে কেউই মুখ খোলেনি। জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যেই দুই পরিবার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে প্রভার বাবার জন্যই আটকে আছে সিদ্ধান্তটি। কারণ তিনি মেয়েকে নিয়ে আসার সময় অপূর্বকে বলেছেন, আমি প্রভাকে নিয়ে গেলাম। যদি তুমি মনে কর আমার মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে পারবে তাহলে জানাবে। সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে অপূর্বের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন- প্রভা তার বাবার বাসায় গেছে।

এদিকে অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় অনেকেই জানতে চাচ্ছেন রাজিবের কথা। রাজিব এখন কোথায়? অনেকের মনেই প্রশ্ন প্রভাকে কী আবারও জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করবে রাজিব? সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে এমন প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ঘুরতে গেছেন। আরো জানা গেছে, প্রভা রাজিবের কাছে আবদার করেছিল, বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডে হানিমুনে যাওয়ার। সে জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকাও জমিয়েছিল রাজিব। কিন্তু সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় রজিব এখন দেশের বাইরে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা করছেন। প্রথমে আমেরিকার টেক্সাসে পড়াশোনা করতে যাবেন। তারপর সেখানেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা। তবে প্রভাকে রাজিব আর কখনই গ্রহণ করতে পারবে না। কারণ প্রভা রাজিবের সঙ্গে অনেক প্রতারণা করেছেন। প্রভা এখন যে গাড়িতে চড়ছে, সেটা রাজিবের কিনে দেয়া। প্রভা যে শাড়ি পরে অপূর্বকে বিয়ে করেছে সেটাও রাজিবের বোনের কিনে দেয়া। যে মেয়ে আট বছরের প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে আরেকজনের গলায় মালা পরাতে পারে তাকে কখনোই মেনে নেবে না বলে রাজিবের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।

তাছাড়া যে রাতে প্রভা অপূর্বের হাত ধরে পালিয়েছে, সে রাতেও রাজিবের সঙ্গে ফোনে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছেন। আবার বিয়ের পরপরই নাকি প্রভা রাজিবকে ফোন করে তাদের জন্য দোয়া করতে বলেছেন।

এদিকে মিডিয়াতে আরও একটি প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে। রাজিবকে কেন ছাড়ল প্রভা? রাজিব এবং প্রভার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পেছনে তৃতীয় কারও হাত আছে কিনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ জন্য নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীই দায়ী। এ পর্যন্ত এই গুণী নির্মাতা অনেক তারকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করার এবং ভাঙার কাজ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রভার মাধ্যমেই রাজিবের সঙ্গে পরিচয় হয় চয়নিকার। পরিচয়ের কিছুদিন পর রাজিবকে তিনি তার নাটক প্রযোজনা করতে বলেন। কিন্তু রাজিব এতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে রাজিবকে নায়ক বানানোর কথা বলেন। এসব কিছুরই উদ্দেশ্য ছিল রাজিবের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া। কিন্তু চয়নিকার কোনো প্রস্তাবেই রাজি হননি রাজিব। পরে রাজিবের সঙ্গে চয়নিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/robot_eee_1285181544_1-PROVA.jpg

এক পর্যায়ে রাজিব প্রভাকে চয়নিকার নাটকে অভিনয় করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু প্রভা শোনেনি। অন্যদিকে চয়নিকা অপূর্ব-প্রভাকে নিয়ে একের পর এক নাটক নির্মাণ করেন। অপূর্ব প্রভার প্রতি দুর্বল এ কথা জানতো চয়নিকা। তাই শুটিংয়ের সময় মেকআপ রুম অপূর্ব-প্রভার জন্য ফাঁকা করে দিতেন তিনি। পাশাপাশি রাজিবের নামে অসত্য কথা বলত। অপূর্বের প্রশংসা করত। তবে চয়নিকা চৌধুরী তার সম্পর্কে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য