পশ্চিমা বাহিনীর সহায়তায় লিবিয়ার বিদ্রোহীরা দেশটির পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্রেগা, উকাইলা ও আজদাবিয়া সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সূত্র: আল-জাজিরা অনলাইন।
বিদ্রোহীরা সাংবাদিকদের জানায়, তারা ব্রেগা শহর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এছাড়া তারা উকাইলা শহর দখলে নিয়েছে বলেও দাবি করেছে। পশ্চিমা জোট বাহিনীর বিমান হামলার সহায়তায় আজদাবিয়া পুনরায় দখল করে নেয়ার পর শনিবার ব্রেগা দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
পশ্চিমা বাহিনীর বিমান হামলার ছত্রছায়ায় বিদ্রোহীরা বর্তমানে তেলসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ শহর রাস লানুফের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহীরা সেখানে গাদ্দাফি সমর্থিত সরকারি বাহিনীর তেমন প্রতিরোধের মুখে পড়ছে না।
এদিকে ব্রেগা শহরের দখল নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। সরকারি বাহিনী শহরের কৌশলগত এলাকায় অবস্থান করছে বলে তারা দাবি করেছে। অপরদিকে শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।
এদিকে অব্যাহত পশ্চিমা জোট বাহিনীর বিমান হামলার মুখে শনিবার মিসুরাতা শহরে গোলাবর্ষণ বন্ধ করে সরকারি বাহিনী। এদিকে ফ্রান্সের প্রায় ২০টি যুদ্ধবিমান ও দুটি হেলিকপ্টার মিসুরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালায়।
অপরদিকে ব্রিটিশ রয়াল এয়ার ফোর্স জানায়, ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র মিসুরাতায় তিনটি সাঁজোয়া যান এবং আজদাবিয়ায় দুটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে। মিসুরাতা এখনো সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা শহরটিকে সব দিক থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে অব্যাহত সহিংসতার মুখে গত ১৭ মার্চ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমোদনসহ লিবিয়ার ওপর ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব পাস হয়। ‘নো-ফ্লাই জোন’ আরোপের পর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে লিবিয়া। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও ১৯ মার্চ লিবিয়া আক্রমণ করে পশ্চিমা বাহিনী।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।