দর্শনার্থী ভিসায় (ভিজিট ভিসা) বিদেশগমনকারী যাত্রীদের বিমানের টিকিট পেতে আয়কর পরিচিতি নম্বর (টিআইএন) নম্বর ও ন্যূনতম দু’বছরের ব্যাংক হিসাব বিবরণী প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিদেশে মানবসম্পদ রপ্তানিকারী সংস্থাগুলোর (রিক্রুটিং এজেন্সি) কাজকর্ম তদারক করতে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শ্রমবাজারের দেশগুলোতে ভিজিট ভিসায় গমনকারীরা অবৈধভাবে থেকে কাজ করে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তাদের নাজেহাল হতে হয়। এতে ুণœ হয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। ফলে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠাতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভিজিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সভাপতি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আসাদুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘এক শ্রেণীর অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির যোগসাজশে ভিজিট ভিসায় বিদেশে গিয়ে সেখানে অবৈধভাবে অবস্থানের প্রবণতা বেড়েছে। কেবল ভিজিট ভিসায় ভ্রমণের উপযুক্তদের ভিসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
অভিবাসন অফিস সূত্র জানায়, গত ছয় মাসে ভিজিট ভিসায় বিদেশে অবস্থান করছিলেন এমন একশ’ জন যাত্রী দেশে ফেরত এসেছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈধ ভিজিট ভিসায় কয়েক হাজার লোক মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, ব্রুনাই, মালদ্বীপসহ কয়েকটি দেশে গিয়ে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাস্কাফোর্সের এক সদস্য বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থান করার ফলে বেকার জীবনযাপন করতে হয় এবং বিভিন্ন অপরাধকর্মে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে যা জনশক্তি রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক এয়ারলাইন্স ভিজিট ভিসায় গমনকারীদের জন্য ‘ওকে টু বোর্ড’ পদ্ধতিও চালু করেছে।’ এখন থেকে প্রতিটি এয়ারলাইন্সে এ পদ্ধতি চালু করার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জান তিনি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্র অর্জন করে। এ খাতকে আরও গতিশীল, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, ভিসা নিয়ে অনৈতিক প্রক্রিয়া বন্ধ এবং অবৈধভাবে জনশক্তি রপ্তানি রোধ ও মনিটরিং করাই টাস্কফোর্সের কাজ।’
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।