প্রথম দল হিসাবে বিশ্বকাপের চলতি আসরে ফাইনালে ওঠেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে লঙ্কানরা। আর ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে কিউইরা।
২১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা লঙ্কানদের সূচনাটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৭ ওভার ২ বলে ৪০ রান তুলে নেয় উদ্বোধনী জুটি। উপুল থারাঙ্গাকে (৩০) সাজঘরে পাঠিয়ে বিশ্বকাপের চলতি আসরের সফল এই উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন টিম সাউদি।
এরপর তিলাকারত্নে দিলশান আর অধিনায়ক কুমারা সাঙ্গাকারার ১২০ রানের জুটি বলতে গেলে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে। দলীয় ১৬০ রানে বিশ্বকাপের চলতি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী দিলশানকে (৭৩) সাজঘরে ফেরান সাউদি।
দলীয় ১৬১ রানে জয়বর্ধনে (১) কিউই অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৬৯ রানে ম্যাককেই’র বলে সাঙ্গাকারা (৫৪) থার্ডম্যানে ধরা পড়লে দারুণভাবে খেলায় ফিরে নিউজিল্যান্ড।
এরপর শ্রীলঙ্কার রান তোলার হার কমে যায়। রানের বিপরীতে কমতে থাকে বলের ব্যবধান। ধুঁকতে থাকা সিলভা (১৩) সাউদির বলে বোল্ড হয়ে গেলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান। জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কিউইরা।
কিন্তু সামারাবীরা (২৩) ও ম্যাথিউস (১৪) দলকে নিরাপদে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়। ১৩ বল বাকি থাকতেই কিউদের ২১৭ রানের জবাবে ২২০ রান তুলে নেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। কিউইদের স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়নি। বরং ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনালের দুঃস্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৫৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট লাভ করেন টিম সাউদি। একটি করে উইকেট নেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও ম্যাককেই।
ম্যাচ জেতানো অর্ধশতক (৫৪), উইকেটের পিছনে দারুণ দক্ষতা আর দুর্দান্ত অধিনায়কত্বের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কুমারা সাঙ্গাকারা।
এরআগে মঙ্গলবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক ভেট্টোরি। শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ৪৮ ওভার ৫ বলে ২১৭ রানে গুঁটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
আগামীকাল মঙ্গলবার ভারতের মোহালিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে পাকিস্তান ও ভারত। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল মুম্বাইতে শিরোপার ফাইনাল লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে শ্রীলঙ্কা।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।