দেশের বিচার বিভাগ ঘুমন্ত উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশে শুধু আইন থাকলেই হবে না। আইনের শাসনের বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য আমাদের ঘুমন্ত বিচারকদেরও জেগে উঠতে হবে। তাদের জাগ্রত করতে হবে। অন্যথায় রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের অবসান হবে না।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস-২০১১ উপলক্ষে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বৈষম্য নিরোধ আইনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ দলিত পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ফেয়ার এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে দলিত ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। এ সময় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একজন বলেন, তাদের সাঁওতাল সম্প্রদায় হিসাবে গণনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। তারা ১৮৫ জন সাঁওতাল রয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জনকে গণনা করা হয়েছে।
যৌনকর্মীদের একজন জানান, তাদের আদৌ গণনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয় না। এছাড়া হিজড়া সম্প্রদায়ের একজন বলেন, তাদের নারী হিসাবে গণনা করা হয়েছে, কিন্তু হিজড়া হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে রাষ্ট্র এভাবেই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কোথায় আমার মর্যাদা, যদি আমি গণনায়ই না থাকি! এখন বলব এখানেও প্রতারণা করা হচ্ছে। যখনই গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তখনই তো নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হলো। এখানেই তো বৈষম্য।’
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মহুয়া লেয়া ফলিয়ারের সঞ্চালনায় এই সেমিনারে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন, আমেনা মহসিন, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।