জাপানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১১

জাপানে গতকাল শুক্রবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে দেখা দেওয়া সুনামিতে প্রায় ১০ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় জাপানের অনেক এলাকা। এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বেশ কয়েকটি দেশে। এখানে ১৯০০ সালের পর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি ভূমিকম্পের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরা হলো। এর মধ্যে বেশির ভাগ ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামি দেখা দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
১৯০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি: ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ভূমিকম্প এবং সুনামিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা৮ দশমিক ৮। মধ্য আমেরিকা, সানফ্রানসিসকো ও জাপান পর্যন্ত এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর: রাশিয়ায় ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। এর তীব্রতা হাওয়াই দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোনো মানুষ হতাহত হয়নি।

ভূমিকম্পের আঘাতে জাপানের সুকাগাওয়া শহরে ধসে পড়া একটি কারখানার ভবন
ভূমিকম্পের আঘাতে জাপানের সুকাগাওয়া শহরে ধসে পড়া একটি কারখানার ভবন

১৯৫৭ সালের ৯ মার্চ: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই উমনাক দ্বীপের ভিসেভিডোফ আগ্নেয়গিরির ২০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত হয়। এ সময় অন্তত ৫০ ফুট উঁচু সুনামি হাওয়াই দ্বীপে আছড়ে পড়ে।
১৯৬০ সালের ২২ মে: চিলির সান্তিয়াগো ও কনসেপশন শহরে ৯ দশমিক ৫ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। এতে পাঁচ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ভূমিকম্প ও সুনামিতে অন্তত ১২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ২।
১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই শেমিয়া দ্বীপে অন্তত ৩৫ ফুট উঁচু সুনামি আঘাত হানে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপে ৯ দশমিক ১ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভারত ও অন্য নয়টি দেশে অন্তত দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৫ সালের ২৮ মার্চ: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে অন্তত এক হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি: চিলেতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূম্পিকম্পের আঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত তিন কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
২০১১ সালে ১১ মার্চ: ৮ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্প জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ সূত্রে জানায়, এর উৎপত্তি স্থল ছিল হনশু দ্বীপের প্রায় ৮১ মাইল পূর্বে সেনদাইয়ের অন্তত ১৫ দশমিক ১ মাইল গভীরে। ভূমিকম্পের পরপরই দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ মিটার উঁচু সুনামি হয়। জাপান ছাড়াও ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া কলম্বিয়া ও পেরুতে সুনামি-সতর্কতা জারি করা হয়। রয়টার্স।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য