গুগলের ইঞ্জিনিয়াররা চালকবিহীন একটি গাড়ি ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় পরীক্ষা করে দেখেছেন। এই প্রজেক্টের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ‘সেবাস্তিয়ান থ্রুন’ এই গাড়ি সম্পর্কে বলেন, “অন্য গাড়ি দেখার জন্য এই গাড়ির ছাদে বসানো হয়েছে ক্যামেরা, রাডার সেন্সর এবং দূরত্ব নির্ধারণ এর জন্য গাড়িগুলো লেজার ব্যবহার করে”।
গুগল এর আশা এই গাড়িগুলো একদিন ট্রাফিক এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করবে। কোম্পানির অফিসিয়াল ব্লগে অধ্যাপক থ্রুন বলেন যে, “এই চালকবিহীন গাড়িগুলো প্রায় ১৪০,০০০ মাইল রাস্তা অতিক্রম করেছে”।
এই গাড়িগুলো সান ফ্রান্সিসকোর আইকনিক গোল্ডেন গেইট ব্রিজ এবং লেক টাহো পার হয়ে শহরের বিখ্যাত ঢালু রাস্তা দিয়ে গুগলের অফিসগুলোর মাঝে দিয়ে ভ্রমণ করে।
অভাবনীয় ভবিষ্যতঃ
অধ্যাপক থ্রুন তার গুগল এর ব্লগ পোস্ট এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন যে, “এই প্রজেক্টে আমরা যে বিষয়কে সবচাইতে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি তা হলো ‘নিরাপত্তা’। গন্তব্যস্থল ছিল পূর্ব পরিকল্পিত যা প্রথমেই নির্ধারণ করা হয়ছিল প্রকৃত চালকদের মাধ্যমে এবং স্থানীয় পুলিশ কে আগেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হয়েছিল”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক থ্রুন বলেন, “প্রায় ১.২ মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে এবং এই সংখ্যা অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, দুর্ঘটনার এই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনার সামর্থ্য আমাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির আছে।”
তিনি আরো বলেন,“যদিও এই প্রজেক্টটি এখনো একদম প্রাথমিক পর্যায়ে, তবুও ভবিষ্যতে আধুনিক কম্পিউটার সায়েন্সের সাহায্যে কি ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা আমরা পেতে পারি তা আমি কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি…… এবং সেই ভবিষ্যত খুব খুবই উত্তেজনাকর।”
গুগল সাম্প্রতিক বছর গুলোতে খুবই তাড়াতাড়ি বিস্মৃতি লাভ করেছে। এই কোম্পানি ইতিমধ্যেই গুগল ম্যাপস এবং গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু করার মাধ্যমে লোকেশন সার্ভিসে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।