এখন থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্টে বসেও মুঠো ফোনের মাধ্যমে ভিডিও কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন পর্বতারোহীরা। সুইডেনের বিখ্যাত ফোন কোম্পানি টেলিয়াসোনেরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনসেল এ তথ্য জানিয়েছে।
আর এ সুযোগ তৈরি করতে ইতিমধ্যেই এভারেস্ট অঞ্চলের গোরাকশেপ গ্রামে ৫ হাজার ২শ’ মিটার বা ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে একটি দ্রুত গতির তৃতীয় প্রজন্ম (থ্রি-জি) ফোনের বেস স্টেশন স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসেলের নেপাল প্রধান পাসি কয়স্টিনেন বলেন, ‘আজ আমরা মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে সফলভাবে বিশ্বের উচ্চতম ভিডিও কলটি করেছি।’ এ নেটওয়ার্ক এভারেস্টের চূড়া পর্যন্ত পৌঁছবে বলেও দাবি করেন তিনি।
নতুন এ স্থাপনা প্রতিবছর এভারেস্ট অঞ্চলে আসা হাজার হাজার পর্যটক ও পর্বত পরিব্রাজকদের জন্যও সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পাসি কয়স্টিনেন।
এদিকে এনসেলের ৮০ শতাংশের মালিক টেলিয়াসোনেরা’র প্রধান নির্বাহী লারস নির্বার্গ জানিয়েছেন, ‘বেতার মাধমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক।
তাছাড়া থ্রি-জি দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ থেকে দ্রুততর ও অধিকতর সুলভ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন লারস।
এই থ্রি-জি সার্ভিস ভিডিও কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপের একটি খনিতে সমুদ্র পৃষ্ঠের ১৪শ’ মিটার নিচে থ্রি-জি বেস স্থাপনের কৃতিত্বের দাবিদার এই টেলিযোগাগযোগ কোম্পানিটি।
পর্বতারোহীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন প্রটেকশন কমিশনের সদস্য আং শেরিং শেরপা মনে করেন, এ সার্ভিসটি চালু হলে পর্বতারোহীরা তাদের সংগঠন ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।তিনি বলেন, বিশেষ করে কোনো দুর্ঘটনা বা অভিযাত্রার সময় সম্ভাব্য কোনো বিপদের ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হবে।
এরআগে খুবই ব্যয়বহুল অথচ অনিশ্চিত স্যাটেলাইট ফোন কভারেজের ওপর নির্ভর করতে হতো এভারেস্টের ৮ হাজার ৮শ’ ৪৮ মিটার উঁচুতে ওঠা পর্বতারোহীদের। পর্বতের চীনা পার্শ্বে ২০০৭ সালে চায়না মোবাইলের স্থাপিত ভয়েস-ওনলি নেটওয়ার্কই ছিল পর্বোত আরোহীদের যোগাযোগের শেষ সম্বল।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।