যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে, তারা আসলে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে। তারা যা করছে তা অন্যায় হচ্ছে। এ জন্য এসব সন্ত্রাসীকে নিজ নিজ ধর্মের প্রতিনিধি মনে করা হবে মারাত্মক ভুল। একটি ধর্মকে বুঝতে হলে তার মূল উৎস থেকে জানতে হবে।
ইসলামের পবিত্র উৎস হলো কুরআন শরিফ। এ পবিত্র কিতাবের ধারণাগুলোর ভিত্তি হলো নৈতিকতা, ভালোবাসা, সমবেদনা, বিনয়, ত্যাগ, ধৈর্য ও শান্তি। যে মুসলিম এসব নৈতিক উপদেশগুলো মেনে চলে, স্বভাবতই সে হয় সব থেকে ভদ্র, বিনয়ী, চিন্তায় সাবধানী, শালীন, ন্যায়বিচারক ও বিশ্বাসী। মানুষ তাকে আপন ভাবতে পারে। সেই হলো মুসলমান যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বেঁচে থাকার আনন্দ নিজের চার দিকে ছড়িয়ে দিয়ে সবার সাথে মিলেমিশে চলে।
ইসলাম শান্তির ধর্মঃ বৃহত্তর অর্থে বলা যায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক মানুষদের ওপর আক্রমণ চালানো হলো সন্ত্রাস। অন্যভাবে বলা যায়, যেকোনো নিরপরাধ মানুষকে আক্রমণ করাই হলো সন্ত্রাস। সন্ত্রাসীদের চোখে হামলার শিকার ওই মানুষদের একমাত্র অপরাধ হলো, তারা অন্য মতের প্রতিনিধি। সন্ত্রাস হলো অসহায় মানুষের রক্ত ঝরানো, যা কোনো যুক্তিতেই সমর্থন করা যায় না। হিটলার ও স্ট্যালিন যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
কুরআন মানুষের কাছে এসেছে সত্যের পথপ্রদর্শক হিসেবে। এই আসমানী কিতাবে আল্লাহ আমাদের আদেশ দিয়েছেন উন্নত নৈতিক আদর্শকে গ্রহণ করতে। আরবি যে শব্দ থেকে ইসলাম এসেছে তার অর্থ ‘শান্তি’। ইসলাম এসেছে শান্তির ইচ্ছা নিয়ে, যাতে আল্লাহর অনন্ত ক্ষমা ও সান্ত্বনার বার্তা এই পৃথিবীতে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। আল্লাহ্ সবাইকে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি আহ্বান করেন যাতে পৃথিবীর সবাই সহনশীলতা, ক্ষমা, শান্তি উপভোগ করতে পারে। সূরা বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ; তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ এই আয়াতে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে, ইসলামে পুরোপুরি প্রবশ করলে তবেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এর মানে, কুরআনের মূল্যবোধের মধ্যে আমাদের বাস করতে হবে। কুরআনের এই মূল্যবোধের জন্য একজন মুসলমানকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি দয়া দেখাতে হয়। তাদের সাথে ন্যায়আচরণ করতে হয়; অভাবী ও নিরাপরাধকে রক্ষা আর অনিষ্টের বিস্তারকে প্রতিহত করতে হয়। অনিষ্ট বা অপকার হলো তাই যা নিরাপত্তা, আরাম, শান্তিকে নষ্ট করে।
আল্লাহ বলেন, তিনি পাপ ও নীতিহীনতাকে পছন্দ করেন না। আল্লাহ এই আচরণের কথা বলেছেন এভাবেঃ ‘আর যখন সে ফিরে যায় তখন সে চেষ্টা করে যাতে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও জীব-জন্তুর বংশ বিনাশ করতে পারে। আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না।’ (সূরা বাকারাঃ ২০৫) অকারণে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা অনিষ্টের একটি বড় উদাহরণ। আল্লাহ ইহুদিদের কাছে যে আদেশ পাঠিয়েছিলেন সেটাই আবার জানিয়ে দিলেন পবিত্র কুরআনেঃ ‘… কেউ কাউকে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ কিংবা দুনিয়ায় ফাসাদ সৃষ্টি করার কারণ ছাড়া হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল, আর যে কেউ কারো জীবন রক্ষা করল, সে যেন সব মানুষের জীবন রক্ষা করল। তাদের কাছে তো এসেছিল আমার অনেক রাসূল স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে। কিন্তু এরপরও তাদের অনেকেই দুনিয়ায় সীমা লঙ্ঘনকারীই রয়ে গেল।’ (সূরা মায়িদাঃ ৩২)
এই আয়াতে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে, যে অকারণে কাউকে হত্যা করেনি বা দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করেনি, এমন একজন মাত্র নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা মানেই হলো যেন দুনিয়ার সব মানুষকে মেরে ফেলা। এই যখন বিধান তখন সহজেই বোঝা যায়, বেপরোয়া হামলা ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড যা সন্ত্রাসীদের কাছে আত্মঘাতী হামলা নামে জনপ্রিয়, তা কত বড় পাপ। কেননা, এতে অসংখ্য নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়।
আল্লাহ বলেছেন, এ ধরনের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ও বড় পাপের শাস্তি তিনি কিভাবে পাপীদের পরকালে দেবেন … ‘অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরকম লোকের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব।’ (সূরা শূরাঃ ৪২)
এসব কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে, নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে সংগঠিত সন্ত্রাস পুরোপুরি ইসলামের বিপরীত; আর এটা কখনোই হতে পারে না যে, কোনো প্রকৃত মুসলিম এ ধরনের অপরাধ করবে। বরং বলা যায়, মুসলমানদের কর্তব্য হলো এই ধরনের পাপীদের থামানো এবং পৃথিবীর বুক থেকে এ ধরনের অন্যায়কে নিশ্চিহ্ন করে পৃথিবীর মানুষের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা পৌঁছে দেয়া। ইসলাম কখনোই সন্ত্রাসের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারে না। এর সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে বলা যায়, ইসলাম হলো সন্ত্রাস প্রতিরোধের পথ ও উপায়।
আল্লাহ পাপকে নিন্দা করে একে দণ্ডনীয় অপরাধ বলেছেনঃ আল্লাহ মানুষকে আদেশ করেছেন কোনো অন্যায় না করতে … যেমন অত্যাচার, নিষ্ঠুরতা, হত্যা ও রক্ত ঝরানো এসব হলো নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেছেন, যে এই আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়, সে যেন শয়তানের পথ অনুসরণ করে। সে ব্যক্তি পাপের পথকে বেছে নিয়েছে, যা স্পষ্টতই অন্যায় বলে কুরআনে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুরআনের অসংখ্য আয়াতের মধ্যে কয়েকটি হলো
‘আর যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় শপথ করার পর তা ভেঙে ফেলে এবং যে সম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদেরই জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদেরই জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট পরিণাম।’ (সূরা রা’দঃ ২৫)
‘… তোমরা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে পানাহার করো আর পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করো না।’ (সূরা বাকারা ৬০)
‘… পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। তাকে (আল্লাহকে) ডাকো ভয় ও আশা নিয়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত নেককারদের নিকটবর্তী।’ (সূরা আ’রাফঃ ৫৬)
যারা মনে করছে পাপাচার, বিপ্লব, অত্যাচার আর নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে সাফল্য লাভ করা যাবে, তারা আসলে মারাত্মক ভুল করছে। আল্লাহ সব ধরনের অন্যায়কে নিষিদ্ধ করেছেন যার মধ্যে অবশ্যই সন্ত্রাস আর সংঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত। যারা এ ধরনের কাজ করে আল্লাহ তাদের নিন্দা করে এক আয়াতে বলেছেন, ‘আল্লাহ তো অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা হতে দেন না।’ (সূরা ইউনুসঃ ৮১)
বর্তমান সময়ে সন্ত্রাস, গণহত্যা, বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড পৃথিবীজুড়েই হচ্ছে। নিরপরাধ মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হচ্ছে আর দেশে দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পরস্পরের মধ্যে কৃত্রিমভাবে ঘৃণার জন্ম দিয়ে রক্তের স্রোতে তাদের ডুবানো হচ্ছে। এ ধরনের তীব্র ঘৃণা সৃষ্টির কারণ ও পটভূমি এক একটি দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
ধর্মীয় নীতিকথা আমাদের শেখায় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সহনশীলতা। কিন্তু এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এ নৈতিকতা আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় চেতনার অভাবে এমন এক গোষ্ঠীর জন্ম হচ্ছে যারা আল্লাহকে ভয় পায় না এবং বিশ্বাস করে যে, পরকালে তাদের কোনো কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে না। যেহেতু তারা এটাই বিশ্বাস করে, ‘আমাকে কারো কাছেই কোনো কাজের জন্য দায়ী হতে হবে না’, তাই তারা খুব সহজেই অন্যের জন্য কোনো দুঃখবোধ ছাড়াই নৈতিকতা আর ভালো-মন্দ বিচার না করেই কাজ করতে পারে। আল্লাহ ও ধর্মের নাম ব্যবহার করে ভণ্ড ব্যক্তিরা নিজেদের অস্তিত্ব আমাদের সামনে প্রকাশ করে; কিন্তু আসলে তারা সেসব পাপাচারে লিপ্ত থাকে যেগুলোকে আল্লাহ নিন্দা করেছেন। এ ধরনের ঘটনার প্রতি নির্দেশ করে পবিত্র কুরআনের ২৭ নম্বর সূরায় ৯ জন মানুষ সম্পর্কে বলা হয়েছে যারা নবী করিম সাঃ-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল; এবং সেটা তারা করেছিল আল্লাহর নামে শপথ করে করবে বলেই। ‘আর সেই জনপদে এমন ৯ জন ব্যক্তি ছিল, যারা দেশময় বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়াত এবং একটু শান্তি স্থাপন করত না। তারা বলল, তোমরা আল্লাহর নামে কসম করো, আমরা রাতের বেলা নবীকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই হত্যা করব; তারপর তাঁর অভিভাবককে অবশ্য বলে দেবো যে, আমরা তাঁর পরিবারদের হত্যাকাণ্ড দেখিনি, আর আমরা তো সত্যবাদী। তারা এক গোপন ষড়যন্ত্র করল এবং আমিও এক কৌশল অবলম্বন করলাম, কিন্তু তারা তো টেরও পেল না।’ (সূরা নামলঃ ৪৮-৫০)
কুরআনের উপরিউক্ত আয়াতে বোঝা যায়, বাস্তবে মানুষ অনেক কিছুই আল্লাহর নামে করে এমনকি আল্লাহর নামে শপথও করে তারা। অন্যভাবে বলা যায়, তারা নিজেদের খুব ধার্মিক হিসেবে দেখানোর জন্যই আল্লাহর নাম ব্যবহার করে। কিন্তু তাই বলে এটা বলা যাবে না যে, তারা যা করছে তার সাথে ইসলামের আদর্শের মিল রয়েছে। বরং বলা যায়, তারা যা করছে; তা আল্লাহর অপছন্দের কাজ এবং ধর্মীয় নৈতিকতাবিরোধী। তারা কী করছে সেই সত্য তাদের কাজের মধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। যদি তাদের কাজ এমন হয়, যা পবিত্র কুরআনের আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বিপর্যয় সৃষ্টি আর শান্তি স্থাপন না করা’, তাহলে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি এ ধরনের মানুষ কখনোই প্রকৃত ধার্মিক নয়। ধর্মের কল্যাণের জন্য কিছু করা কখনোই তাদের উদ্দেশ্য নয়। একজন আল্লাহভীরু ব্যক্তি যে ইসলামের নৈতিকতাকে বুঝতে পেরেছে সে কখনোই পাপ ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করতে পারে না। এ ধরনের কোনো কাজে অংশ নেয়া তার পক্ষে অসম্ভব। ইসলামেই রয়েছে সন্ত্রাসের সত্যিকার সমাধান। কুরআনের উন্নত নীতিমালাকে যখন বুঝিয়ে বলা হয়, তখন যেকোনো মানুষের পক্ষেই সত্যিকারের ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের সমর্থকদের ও সন্ত্রাসী দলগুলোকে মেলানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেননা, সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য হলো ঘৃণা, যুদ্ধ আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি। অন্য দিকে আল্লাহ পাপকে নিষিদ্ধ করেছেন। ‘আর যখন সে ফিরে যায়, তখন সে চেষ্টা করে যাতে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তুর বংশ বিনাশ করতে পারে। আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না। আর যখন তাকে বলা হয়ঃ ‘আল্লাহকে ভয় করো, তখন তার অহঙ্কার তাকে পাপে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং দোজখই তার জন্য যথাযোগ্য স্থান। নিশ্চয়ই তা হলো নিকৃষ্ট আবাস।’ (সূরা বাকারাঃ ২০৫-২০৬)
এই আয়াতে প্রকাশ পাচ্ছে, কোনো আল্লাহভীরু ব্যক্তির পক্ষে সামান্য কোনো কাজও, যা মানবতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, সে ব্যাপারে নির্বিকার থাকার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। যে ব্যক্তি স্রষ্টায় ও পরকালে বিশ্বাসী নয়, তার পক্ষে সহজেই সব পাপ কাজ করা সম্ভব। কেননা, সে মনে করে কারো কাছেই তার কোনো জবাবদিহিতা নেই। বর্তমান পৃথিবীকে সন্ত্রাসের অত্যাচার থেকে রক্ষার জন্য প্রথমেই যা করতে হবে, তা হলো সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে বিপথগামী ধর্মহীন বিশ্বাস, যা ধর্মের নামে প্রচার করা হয়, সেসবকে দূর করা আর মানুষকে কুরআনের সত্যিকার নীতিকথা শেখানো ও আল্লাহকে ভয় করা।
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা

আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
সন্ত্রাসীদের শেষ আশ্রয় শান্তির ধর্ম ইসলাম
শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় লেখকের কলাম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।