লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘ সমর্থনপুষ্ট পশ্চিমা শক্তিগুলোর হামলাকে ‘ক্রুসেডার (খ্রিস্টান ধর্মযোদ্ধা) আগ্রাসন’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা অনলাইন।

শনিবার রাতভর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে লিবীয় নেতা এসব কথা বলেন।
গাদ্দাফি বলেন, লিবিয়ায় হামলার কোনো অধিকার পশ্চিমাদের নেই। কারণ লিবিয়া পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে লিবিয়ার প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষা করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
লিবিয়ার জনগণ তার পক্ষে আছে মন্তব্য করে লিবীয় নেতা বলেন, জনগণ সর্বাত্মক যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে প্রস্তুত করতে অস্ত্রাগার খুলে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবিত ‘নো-ফ্লাই জোন’ কার্যকর করতে শনিবার রাতভর লিবিয়ার সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এসব হামলায় অর্ধশতাধিক নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পেন্টাগন জানায়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও মিসরাতা শহরসহ দেশটির ২০টির বেশি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সেনাবাহিনী কমপক্ষে ১১০টি ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে। এছাড়া ব্রিটেন ও ফ্রান্স বিভিন্ন অবস্থানে বিমান হামলা চালায়।
এদিকে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির প্যালেসের কাছাকাছি স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯৮৬ সালেও যুক্তরাষ্ট্র এখানে হামলা চালিয়েছিল। অপরদিকে মানবঢাল তৈরি করতে প্যালেসের সামনে গাদ্দাফির সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমোদনসহ লিবিয়ার ওপর ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব পাস হয়। ‘নো-ফ্লাই জোন’ আরোপের পর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে লিবিয়া। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও শনিবার রাতে লিবিয়া আক্রমণ করে পশ্চিমা বাহিনী।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।