লিবিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরে অবশ্যই হামলা বন্ধ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা ত্যাগ করতে গাদ্দাফি সরকারকে সতর্ক বার্তা পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অন্যথায় সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা অনলাইন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, লিবিয়ার বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের শর্তাবলীর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
এরআগে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ ‘নো-ফ্লাই জোন’ আরোপের পর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে লিবিয়া। শুক্রবার লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
এদিকে শনিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনের পাক্কালে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘লিবিয়ায় সামরিক অভিযান ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর বৈঠক হবে। আমি মনে করি, সতর্ক বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে পারে।’
এদিকে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলীয় মিসুরাতা শহরে শুক্রবার রাতভর বোমা হামলা চালানো হয়। অবশ্য সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পর নতুন করে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, হামলার অভিযোগ সত্য নয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা লিবিয়ায় আসতে পারেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমোদনসহ লিবিয়ার ওপর ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১০সদস্য এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। তবে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল ও ভারত প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।