বিগ ম্যাচের উত্তাপটা টের পাওয়া গেল ভালোমতোই। নাগপুরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বি গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলতে দুলতে শেষপর্যন্ত স্থির হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরেই। ৩ উইকেটের ঘাম ঝড়ানো জয় দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা জিইয়ে রাখলো প্রোটিয়ারা। জয় দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে পারল না স্বাগতিক ভারত। আরো একবার বৃথা গেল টেন্ডুলকারের অনবদ্য শতক।
ভারতের ছুঁড়ে ২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৮ ওভারে ৩৭ রান তুলে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। কিন্তু নবম ওভারে প্রোটিয়া-শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন জহির খান। ১৬ রান করে মিড অফে টেন্ডুলকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মিথ।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়েছিলেন হাশিম আমলা ও জ্যাক ক্যালিস। কিন্তু দলীয় ১২৭ রানের মাথায় দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আবার আঘাত হানেন হরভজন সিং। ৭২ বলে ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আশার আলো জ্বেলে রেখেছিলেন এ মুহূর্তের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। কিন্তু দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় ক্যালিসকে দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট করে আবারও দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন ‘ভাজ্জি’। ৪১তম ওভারে ডি ভিলিয়ার্সও ৫২ রান করে ফিরে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত ডুমিনি ও ইয়োহান বোথার ২৩, প্লেসিসের অপরাজিত ২৫ ও পিটারসেনের ৭ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে দুই বল বাকি রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শেবাগের ৭৩, গৌতম গম্ভীরের ৬৮ ও টেন্ডুলকারের ৪৮তম ওয়ানডে শতকের সুবাদে ২৯৬ রান করে ভারত।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।