ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিই, এখনই

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১

প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। দিবসটি পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় ডায়াবেটিস সচেতনতা ও প্রতিরোধ। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত এ কয়েক বছর এই থিম অবলম্বন করে পালিত হবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আসুন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিই, এখনই’। দিনটি উপলক্ষে সচেতনতামূলক পোস্টার, প্রচারপত্র বিতরণ ছাড়াও আজ সকাল সাড়ে সাতটায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। ‘ডায়াবেটিস এটলাস’-এর সাম্প্রতিক সংস্করণ থেকে জানা যায়, বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে ২৮৫ মিলিয়ন লোকের রয়েছে ডায়াবেটিস। নিম্ন আয় ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ রোগের প্রকোপ বেশি। অচিরেই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনের হতে পারে ডায়াবেটিস আর আক্রান্ত অধিকাংশেরই তা হবে সংসারে উপার্জনক্ষম বয়সের মধ্যে। দুই দশকের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৪ কোটিতে।

http://rtnn.net/newsimage/sec_8/subsec_24/128975505920101114.jpg

শরীরচর্চা করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়, তা আজ পরীক্ষিত সত্য। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিগুলো হলো: স্থূলতা ও বেশি ওজন, শরীরচর্চা না করা, উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চমান কোলেস্টেরল বা চর্বি, ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকা, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের পরামর্শ হলো, স্ক্রিনিং করে এবং নিজে নিজের স্ক্রিনিং করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের যাদের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, তাদের শনাক্ত করা যাবে। বয়স, কোমরের মাপ, পারিবারিক ইতিহাস, হূদরোগের ইতিহাস ও গর্ভধারণকালে রক্তের সুগার বেশি ছিল কি না, এসব বিষয়ে সহজ প্রশ্নমালার মাধ্যমে উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন লোকদের চিহ্নিত করা সম্ভব।

স্বাস্থ্যকর দেহ ওজন বজায় রাখলে এবং মাঝারি ধরনের প্রাথমিক প্রতিরোধের এই কর্মসূচিতে বড় ভূমিকা রয়েছে ডায়াবেটিস এডুকেটরের, তাঁরা মানুষকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানাবেন, বোঝাবেন এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করবেন। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে—যেমন প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম, দ্রুত হাঁটা/সাঁতার কাটা/সাইকেল চালানো বা নৃত্য করার মতো ব্যায়াম। যেমন প্রতিদিন নিয়মিত আধঘণ্টা হাঁটলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৫-৪০ শতাংশ কমায়।
স্বাস্থ্যশিক্ষাই ডায়াবেটিসের প্রধান চিকিৎসা। শিক্ষা পেলে রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল না থেকেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। নগরায়ণ ও জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে। কায়িক পরিশ্রম না করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখা, স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় পান করা, ধূমপান করা প্রভৃতি কারণে মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে।

যেহেতু টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় তাই এখনি সচেতন হউন। শৃংক্ষলা মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য