স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান!

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাই মিলে দেশ গড়ে স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পদক ২০১১’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে তাঁর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সফল হয়ে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’ তিনি বলেন, যে জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সে জাতি কখনোই দরিদ্র থাকতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ লক্ষ্য পূরণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল স্বাধীনতা পদক ২০১১ প্রদান অনুষ্ঠানে পদক গ্রহণকারীদের স
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল স্বাধীনতা পদক ২০১১ প্রদান অনুষ্ঠানে পদক গ্রহণকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কী পেলাম—সেটিকে বড় করে না দেখে, আমি দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, জনগণকে কী দিলাম, সেটাই বড় হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য সরকার বিদেশ থেকে বেশি দামে খাদ্য কিনে এনে কম দামে জনগণকে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার কোনোভাবেই জনগণকে খাদ্যের জন্য কষ্ট পেতে দেবে না।
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে গতকাল ‘স্বাধীনতা পদক ২০১১’ দেওয়া হয়। পদক পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি গাউস খান (মরণোত্তর), ধর্মীয় নেতা সংঘরাজ জ্যোতি পাল মহাথেরো (মরণোত্তর), শিক্ষাবিদ নীলিমা ইব্রাহীম (মরণোত্তর), সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তম, সমাজসংস্কারক ও শিক্ষানুরাগী শহীদ নূতনচন্দ্র সিংহ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ কে এম শামসুজ্জোহা (মরণোত্তর) ও শিল্পী আবুল হাশেম খান। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে—বাংলাদেশ পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশকে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।
২০১০ সাল পর্যন্ত ১৯৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়। এবার পদক পাওয়া ব্যক্তিদের ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের সোনার মেডেল ও দুই লাখ টাকা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী পদক পাওয়া ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যাঁরা পদক পেয়েছেন তাঁরা দেশ-জাতির জন্য অনন্যসাধারণ অবদান রেখেছেন। তাঁদের জীবন থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে পদক পাওয়া ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বক্তব্য দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, রাজনীতিক, উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য