বাসশ্রমিকদের হামলায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রেদোয়ানের মৃত্যুর আট দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আদালতের নির্দেশে গতকাল সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ কবর থেকে রেদোয়ানের লাশ উত্তোলন করেছে।
হিমালয় পরিবহনের শ্রমিকদের হামলায় আহত হয়ে গত ৫ মার্চ মারা যান রেদোয়ান। পরদিন এর জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর চালান ছাত্ররা। ৬ মার্চ রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে দাফন করা হয়। ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা এবং শাহবাগ থানায় একটি ভাঙচুর মামলা করে। অন্যদিকে শাহবাগ থানা পুলিশ গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের আসামি করে দুটি মামলা করে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম এ কে এম এনামুল হকের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল দুপুরে রেদোয়ানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনকালে ঝালকাঠির নির্বাহী হাকিম শাহাদাত হোসেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর উপস্থিত ছিলেন। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুয়াল হাসান ও চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মাসুদ মোল্লা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
তদন্ত কমিটি কাজ করছে: রেদোয়ান হত্যার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান জানান, কমিটি ৭ মার্চ থেকে কাজ শুরু করেছে। প্রতিদিনই কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাসমালিক সমিতি, পুলিশ-সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল কর্তৃক ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা
আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
ময়নাতদন্তের জন্য রেদোয়ানের লাশ উত্তোলন, হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি
মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় বিশাল বাংলা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।