আফগানিস্তানে একটি সেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে। হামলায় চার আফগান সেনাও প্রাণ হারায়। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা অনলাইন।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী ও আফগান বাহিনী যৌথভাবে আক্রান্ত এই ঘাঁটি ব্যবহার করে। শনিবার সকালের এই হামলায় নয় সেনা নিহতের পাশাপাশি চার আফগান সেনা এবং চার আফগান দোভাষী আহত হয়।

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরিহিত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় লাঘমান প্রদেশের একটি সেনা ঘাঁটির প্রবেশদ্বারে সঙ্গে থাকা বিস্ফোরক দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মোহাম্মাদ জহির আজিমি হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শরীরের সঙ্গে বিস্ফোরক বেল্ট জড়ানো এক ব্যক্তি পায়ে হেঁটে এসে জালালাবাদের পশ্চিমে অবস্থিত সেনা ঘাঁটির প্রবেশদ্বারে এসে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, সেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ ন্যাটো সেনা ও চার আফগান সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া হামলায় চার আফগান সেনা ও চার দোভাষী আহত হয়। সেনা কর্তৃপক্ষ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তালেবান যোদ্ধারা হামলা চালানোর দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবান মুখপাত্র জবিহউল্লাহ মুজাহিদ এক ই-মেইল বার্তায় বলেন, মধ্য আফগানিস্তানের দাই কুন্দি প্রদেশের এক যোদ্ধা এই আত্মঘাতী হামালা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আত্মঘাতী হামলায় কান্দাহার প্রদেশের পুলিশ প্রধান খান মোহাম্মাদ মুজাহিদ নিহত হওয়ার পরদিন জালালাবাদে হামালার ঘটনা ঘটল। দক্ষিণ কান্দাহারে ওই হামলার ঘটনা আরো দুই পুলিশ নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে অভিযান চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনা অবস্থান করছে। মার্কিন অভিযান এবং তালেবানদের প্রতিরোধের মুখে হাজার হাজার আফগান নাগরিক নিহত হয়। একইসঙ্গে দেশটির পুরো অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।