ভারতের ব্যাটিং জিনিয়াস শচীন টেন্ডুলকারের শতক ব্যর্থ করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে নবাগত কচি তুসকার্স কেরালা।
শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া শচীনের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করতে সমর্থ হয়। শুরুতেই ক্রিকেট বিস্ময় শচীন টেন্ডুলকার নিজের ঢং-এ শুরু করেন। ফলে দলের প্রথম উইকেট পতন হয় ৬১ রানে। যার মধ্যে ২১ বলে ১২ রান তার সঙ্গে ওপেন করতে আসা জ্যাকবসের। বাকি রান শচীনের। জ্যাকবসকে বোল্ড করেন গোমেজ।

তার এই ব্যাটিং ম্যাচের শেষঅব্দি চলে। যার ফল ওয়ানডে-টেস্টের সর্বোচ্চ রান; শতক, অর্ধশতক আর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০০ রানের মালিক শর্ট ভার্সনের ক্রিকেটে এতোদিন না পাওয়া শতকও পেয়ে যান। ৬৬ বলের ইংনিসে ১২ চার ৩ ছয়ে সমান ১০০ করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শচীনের সঙ্গে ব্যাট করা মানে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ব্যাটসম্যানের একশ’ ম্যাচের অভিজ্ঞতা- নতুন করে এর প্রমাণ দেন ওয়ানডাউনে নামা আমবতি রাদু। ৩৩ বলে ৩ চার ৪ ছয়ে ৫৩ রান করে রানআউট হন তিনি।
শচীন ও রাদু মিলে ১৬১ রানের জুটি গড়েন। আর শেষ উইকেটে শচীন ও পোলার্ড ৫ রানের জুটি গড়লেও পোলার্ড একটি বল খেলারও সুযোগ পাননি। ফলে ২ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১৮২ রান করে।
টানা দুই ম্যাচে জয় অধরা থাকা নবাগত কচির সামনে ১৮৩ রানের জয়ের টার্গেট অনেকের কাছেই অসাধ্য মনে হতে পারে। কিন্তু যদি আইপিএলের প্রথম শতক হাকানো ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম আর মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো গ্রেটদের ব্যাট হাসে তাহলে এ টার্গেটও মামুলি হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দর্শকরা তাই দেখলো।
ওপেনিংয়ে নেমে ম্যাককুলাম আর জয়াবর্ধনে শুরুটা করেন দেখে-শুনে। দুজনে আস্তে আস্তে বের হতে থাকেন খোলস থেকে। যার ফল ১৩ ওভার ৫ বলে দলের রান বিনা উইকেটে ১২৮। ঠিক এখান থেকেই স্বদেশী লাসিথ মালিঙ্গা বোল্ড করে মাহেলা জয়াবর্ধনেকে সাজঘরে ফেরান। এরআগে জয়াবর্ধনে ৩৬ বলে ৯ চারে করেন ৫৬ রান।
এরপর মালিঙ্গা আরেকটি উইকেটের পতন ঘটান দলীয় ১৫৬ রানে। ম্যাককুলামকে বোল্ড করে বিদায় করেন। ততক্ষণে কচি জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে। ম্যাচ সেরা ম্যাককুলাম ৬০ বলে ১০ চার ২ ছয়ে ৮১ রান করেন। বাকি কাজটুকু সারেন রবীন্দ্র জাদেজা আর ব্রাড হজ। জাদেজা ১১ বলে সমান সংখ্যক ২ চার ও ছয়ে ২৫ এবং হজ ৭ বলে ২ চারে ১১ রান করে অপরাজিত থাকলে কচি ৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে জয় তুলে নেয়। আর নতুন করে প্রমাণ হয়- ‘যেদিন শচীন রান পায়, সেদিন তার দল হারে’ নামে একটি অলিখিত কুসংস্কারের।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।