কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি শনিবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বেধড়ক লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। এতে কমপক্ষে ১৯ নেতা-কর্মী আহত হয়। তবে বিএনপি দাবি করছে আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় শহরের গীতাঞ্জলি সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পায়রা চত্বর ঘুরে কেসি কলেজের নিকট পৌঁছলে তা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।
এ সময় তারা ২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। আহত হয় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক রওশন বিন কদর মিরণ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান লাকীসহ ১৯ নেতা-কর্মী। তাদেরকে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমান দাবি করছেন, আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা শুরু করে।
সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা দেয়ার পর লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি ২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়।
এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।