কক্সবাজার সরকারি কলেজে মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের উদ্বোধনী ক্লাশ ছিল মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করছিল ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে এসে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ফুল দেয়।
এ সময় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়।
এ সময় একদল ছাত্র কলেজের অধ্যক্ষের অফিসসহ ৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় আহত হয় কলেজ অধ্যক্ষ সলিমুর রহমান, প্রভাষক মুজিবুল আলম, সংঘর্ষের ছবি ধারণ করতে গিয়ে একদল ছাত্রের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন দৈনিক কর্ণফুলীর জেলা প্রতিনিধি, অনলাইন পত্রিকা কক্সবাজার টু-ডে ডটকম- এর নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক দৈনন্দিনের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ নয়ন।
এছাড়া সংঘর্ষে দুপক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
1 আপনার মতামত:
বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে ছাত্রশিবির দলকে বাদ দেওয়া হলে দেশের ২/৩ অংশ সন্ত্রাসী কমে যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।