আবারও সক্রিয় হতে শুরু করেছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। অব্যাহত দরপতনে আতঙ্কিত হয়ে যাঁরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ফিরতে শুরু করেছেন। আর এর প্রভাব পড়েছে মূল্যসূচক ও লেনদেনে।
ফলে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো মূল্যসূচক ও লেনদেন বেড়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে বড় ধরনের তহবিল গঠন, শেয়ার পুনঃ ক্রয়ের আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ বেশ কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ কারণে যাঁরা এর আগে বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই শেয়ার কিনছেন।
ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সূত্রে জানা গেছে, দরপতন শুরু হওয়ার পর যেসব বিনিয়োগকারী বাজারে বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, গত কয়েক দিনের লেনদেনে বাজার স্থিতিশীল হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে এ সময় বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হয়ে বিনিয়োগ করতে হবে, যেন অতি মূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ করে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয়।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গতকাল লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে এর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরে, যা সারা দিন অব্যাহত থাকে। দিনশেষে সূচক ২৭১ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৭৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৯৬ পয়েন্টে ছাড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে মোট ২০১টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৪টির, কমেছে পাঁচটির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ১১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৪ কোটি টাকার, যা গতকালের চেয়ে ১৪৩ কোটি টাকা বেশি। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে মোট ২৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৩টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের।
এদিকে, খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গতকাল ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতেরই দাম বাড়ে।
তারিখঃ বুধবার, ৯ মার্চ ২০১১,
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।