আগামী পরশু চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সামনে ইংল্যান্ড। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার একটা সিঁড়ি। এ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইনিংস সূচনায় এক প্রান্তে থাকছেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, অন্য প্রান্তে ইংল্যান্ড অধিনায়কের সঙ্গী হবেন কে?
বিশ্বকাপ মাঝপথে এসে পড়েছে। ইংল্যান্ডও চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এত দিন পর এই প্রশ্ন ওঠার কারণ? কেভিন পিটারসেন। হার্নিয়ার সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে স্ট্রাউসের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ইনিংস সূচনা করছিলেন তিনিই।
বিশ্বকাপটা এভাবে শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারেননি পিটারসেন
পিটারসেনের বদলি এউইন মরগান। কিন্তু তিনি তো মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। পিটারসেনের মতো তাঁকে দিয়ে ইনিংস সূচনার চমক কি দেখাবে ইংল্যান্ড? হয়তো না। তাহলে কে হবেন স্ট্রাউসের সঙ্গী? ইয়ান বেল, রবি বোপারা আর ম্যাট প্রিয়রের নামই চলে আসছে সামনে। বেল ও বোপারার ওপেনার হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আর প্রিয়র তো গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও ইনিংস ওপেন করেছেন। বিশ্বকাপের আগে ওই সিরিজের ছয় ম্যাচে প্রিয়র করেছিলেন ১৩৮ রান। তাঁর এই ব্যর্থতাই নতুন করে ভাবায় ইংল্যান্ডকে। পিটারসেনকে দেখা যায় ওপেনিংয়ে। কিন্তু হার্নিয়ার সমস্যায় চার ম্যাচের বেশি খেলতে পারলেন না পিটারসেন।
বিশ্বকাপের মাঝপথে পিটারসেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নিতে পারেননি ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। দলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাও প্রশ্নবিদ্ধ কোচের কাছে, ‘এর জন্য এটা আসলে ঠিক সময় নয়। আমরা বিশ্বকাপের মাঝপথে আছি। আমাদের কাছে স্পষ্ট মেডিকেল রিপোর্ট ছিল যে, কেভিনের হার্নিয়ার সমস্যা খারাপের দিকে যাবে না।’
গত শনিবারই পিটারসেন বলেছিলেন, হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার বিশ্বকাপের পরই করাবেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না-যেতেই কথা ঘুরিয়ে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পরে বলেছেন, ‘আর ব্যথা সহ্য করা যাচ্ছে না।’ ফ্লাওয়ার মনে করেন, দলের জন্য দলের অন্যতম ভরসা একটু ত্যাগস্বীকার করতে পারতেন, ‘সে ব্যথা নিয়ে কোনো কিছু আগে বলেনি। ভেবেছিলাম বিশ্বকাপটা শেষ করতে পারবে। তার তো উচিত ছিল ব্যথানাশক ওষুধ নিয়ে খেলা।’
তবে শেষ কথা বলার অধিকার তাঁরই, ব্যথাটা যাঁর। তাই হতাশ হলেও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ফ্লাওয়ার, ‘কেভিন বলেছে, তার অবস্থা খারাপ। খুব ব্যথা হচ্ছে এবং সে আর চালিয়ে যেতে পারছে না। এর পর তো তার বদলি নিতেই হয়। আসলে যে চোট পেয়েছে, সে কী রকম বোধ করছে, সেটা তো আর বোঝা যায় না। তাই সে যা বলে, সেটাই আপনাকে মানতে হবে!’
মেনে নেওয়া ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন পিটারসেনও। নিজেকে সান্ত্বনা দিতেই হয়তো এমন বিদায়ের মধ্যেও খুঁজে নিয়েছেন ইতিবাচক দিক, ‘মেঘের আড়ালে সূর্য থাকে, অন্ধকারের পর আলো। বিশ্বকাপ মিস করছি বলে আমি হতাশ। তবে অনেক দিন পর পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে যেতে পারছি। গত বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে ঠিকভাবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারিনি।’
পিটারসেন একটা সান্ত্বনা না হয় খুঁজে নিয়েছেন। কিন্তু ওপেনিং নিয়ে ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা একটু এলোমেলো তো হলোই। পরোক্ষে একটু কি সুবিধা হলো না বাংলাদেশের? সূত্র: ওয়েবসাইট।
সুত্রঃ প্রথম আলো
তারিখঃ বুধবার, ৯ মার্চ ২০১১,
তারিখঃ বুধবার, ৯ মার্চ ২০১১,
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।