সাহিত্যে খেলা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয়ের ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব। এ ধরনের অন্য প্রশ্নোত্তরের জন্য বিষয়বস্তুটি ভালভাবে পড়বে।
# উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

এ কাজ তখনই সফল হয়, যখন রঙে-ঢঙে, আকারে-প্রকারে, ভাষায়-সুরে, ছন্দে, ইঙ্গিতে নিখুঁত রূপ বা অনুভূতি অন্য মনে প্রতিফলিত ও সঞ্চারিত করা যায়। এ কাজ যে পারে, শিল্পরাজ্যের সেই রাজা, সমাজ, ধর্মের জাত-পাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার।
প্রশ্ন: ক. ‘রামায়ণ’ কে রচনা করেছেন?
প্রশ্ন: খ. ‘অতি সস্তা খেলনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্ন: গ. প্রবন্ধে বর্ণিত ‘ব্রাহ্মণ শূদ্রের’ সমানাধিকার ওপরের অনুচ্ছেদের কোন বক্তব্যে প্রতীয়মান হয়? আলোচনা করো।
প্রশ্ন: ঘ. ওপরের অনুচ্ছেদের ‘লক্ষ হূদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা’— প্রবন্ধে বর্ণিত ‘বিশ্ব মানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোরই নামান্তর’—তোমার মতামত উপস্থাপন করো।
উত্তর: ক. ‘রামায়ণ’ রচনা করেছেন বাল্মীকি।
উত্তর: খ. পাঠকের মনস্তুষ্টির যে সাহিত্যকর্ম রচনা করা হয় তাকেই ‘অতি সস্তা’ খেলনা বোঝানো হয়েছে। বাল্মীকি আদিতে মুনি-ঋষিদের জন্য রামায়ণ রচনা করেছিলেন, জনগণের জন্য নয়। এ যুগে পাঠক হচ্ছে জনসাধারণ, সুতরাং তাদের মনোরঞ্জনের জন্য খেলনা গড়তে হবে, তা না হলে বাজারে কাটবে না। সস্তা করার অর্থ হলো, খেলা করা। বৈশ্য লেখকদের পক্ষে শূদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত। কিন্তু খেলনা গড়ে পাঠকের মনস্তুষ্টি হলেও লেখকের হতে পারে না। কারণ পাঠকসমাজ আজ যে খেলনা আদর করে, কাল তা ভেঙে ফেলে। তাই একে লেখক ‘অতি সস্তা খেলনা’ বুঝিয়েছেন।
উত্তর: গ. অনুচ্ছেদের শিল্পরাজ্যের বক্তব্যে প্রবন্ধে বর্ণিত ‘ব্রাহ্মণ শূদ্রের’ সমানাধিকার প্রতীয়মান হয়। শিল্পরাজ্যে খেলা করার প্রবৃত্তির ন্যায় অধিকারও ছোট-বড় সবার সমান আছে। এমনকি এ কথা বললেও অত্ত্যুক্তি হয় না যে, এ পৃথিবীতে একমাত্র খেলার ময়দানে ব্রাহ্মণ-শূদ্রের প্রভেদ নেই। রাজার ছেলের সঙ্গে দরিদ্র্যের ছেলেরও খেলায় যোগ দেওয়ার অধিকার আছে।
অনুচ্ছেদে শিল্পরাজ্যে সবার সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এখানে ছোট-বড় বলে কোনো প্রভেদ নেই। এখানে জাত-বর্ণ-ধর্ম কোনো পরিচয় নেই। রাজার ছেলেও সাহিত্য রচনা করে ছবি এঁকে তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। আবার প্রজা বা দরিদ্র ঘরের ছেলেও তা করতে পারে। এখানে ব্রাহ্মণ শূদ্রের কোনো পার্থক্য নেই। সমাজ-ধর্মের জাতপাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার। প্রবন্ধে খেলার মাঠে এ সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীতে একমাত্র খেলার ময়দানে ব্রাহ্মণ শূদ্রের কোনো প্রভেদ নেই। রাজার ছেলের সঙ্গে দরিদ্র প্রজার ছেলের খেলায় যোগ দেওয়ার অধিকার আছে। এখানেই অনুচ্ছেদের বক্তব্যটি প্রতীয়মান হয়। খেলার ময়দানে যেমন ব্রাহ্মণ শূদ্রের সমান অধিকার, শিল্পরাজ্যেও একই অধিকার প্রতিষ্ঠিত।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।