জেএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রসঙ্গে

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১

রীক্ষায় ভালো ফলের অন্যতম উপাদান হলো পরীক্ষার ভালো রুটিন। জেএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর এলাকার স্কুলের গভর্নিং কমিটির ফল পর্যালোচনা সভায় ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের মতামত হলো, প্রতিদিন একটি পত্রের পরীক্ষা নিলে ফল আরও ভালো করা সম্ভব। জেএসসি পরীক্ষা-ফলের ভিত্তিতেই ছাত্ররা নবম শ্রেণীতে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির প্রস্তুতি নেবে। ২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর শুরু হয়ে মোট সাত দিনে শেষ হয়েছে। ২০১১ সালের জেএসসি পরীক্ষার রুটিন মাত্র দুই দিন বাড়িয়ে নয় দিন করা হলে ছাত্রদের অনেক সুবিধা হবে। আমাদের মতামত হলো, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা আলাদা দিনে নেওয়া হোক।
পরীক্ষার রুটিন ভালো ফলের একটি উপাদান বলেই প্রথম আলোর এসএসসি পরীক্ষা-২০১১ বিশেষ সংখ্যায় ‘পরীক্ষার রুটিনের বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে’ শিরোনামের লেখাটি যথার্থই গুরুত্ব বহন করে।
অতএব বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সভায় আলোচনা, পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
ফুয়াদ আহমেদ বালা
ভাইস চেয়ারম্যান
তারাবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় গভর্নিং কমিটি, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।

দ্বন্দ্ব নয়, পরিবর্তন চাই
পত্রিকা পড়ে বা খবর শুনে বা দেখলেই বোঝা যায়, আমাদের দেশ কোন পথে এগোচ্ছে। কেন, আমরা কি পারি না নিজের দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে, সুখী দেশে পরিণত করতে, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে? পারি, কিন্তু করি না, করার ইচ্ছা পোষণ করি না। এ জন্য নিজেদের একটু শোধরানো দরকার। আমরা পরিবর্তন হলে দেশও একদিন পরিবর্তিত হবেই হবে। আসুন, আমরা সবাই হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি।
এ সরকারকে আমরাই ক্ষমতার আসনে বসিয়েছি। আমরা জানি, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আসলে আমরা সরকারের ভালো কাজগুলোকে সাধুবাদ জানাই এবং খারাপ কাজের প্রতিবাদ করি। হরতাল দেশের ক্ষতি করে, হরতালকে ‘না’ বলি এবং হরতালের বিকল্প কিছু ভাবি। যেমন—মানববন্ধন, অনশন ইত্যাদি করা যেতে পারে। দেশের ক্ষতি হোক এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
আসুন, ইভ টিজিং, খুন, ধর্ষণ, মারামারি, দুর্নীতি ইত্যাদি খারাপ কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, প্রতিবাদ করি, ঘৃণা পোষণ করি। আমরা গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সহযোগিতায় হাত বাড়াই। এরা তো আমাদেরই মা, ভাই, বোন। সব অজ্ঞতা ভুলে সবাই সবার শান্তি কামনা করি। বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা, বেকার সমস্যা রোধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খাদ্যসংকট, গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের সংকট, শেয়ারবাজারে ধস, যানজট সমস্যাসহ নিত্যনতুন সংকট মোকাবিলা অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দল-মতনির্বিশেষে সবাই সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করি।
মানিক রায়
রনটি, দিনাজপুর।
manjkroy 888@yahoo.com

পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিক্রিয়া
৫ মার্চ প্রথম আলোয় প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিবন্ধটি পাঠ করেছি। এর প্রতিটি বাক্যের সঙ্গে অবশ্যই একমত পোষণ করি, শুধু কয়েকটি বাক্যবিশিষ্ট একটি জায়গা বাদে; সেটি হলো, ‘সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে পরিচিত হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে।
এই সরকার বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, এই দশকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ পরিচিত হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়ে। বর্তমান সরকার এটি বিশ্বাস করবে কি করবে না, সেটা আমি জানি না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি যেটি বিশ্বাস করি তা হলো, শুধু সত্তর ও আশির দশক নয়, বর্তমান ও যত দিন এই বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ নামের পাশাপাশি রইবে একটি নাম—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। তিনি কারও দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারেন না। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, যদি কয়েক বছর আগে বিবিসির শ্রোতা জরিপের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্ধারণের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। সেখানে নোবেল বিজয়ী থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুই হয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন না—এমন কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আছেন, আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, তিনি বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান। আরও বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যে স্থানে রেখে গেছেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সেই স্থান থেকে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন সম্মানের উচ্চশিখরে। শুধু বিশ্বাস করি না, আশির দশকের পরে এই দশকে বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করতে আসে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম।
সবশেষে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখাটির প্রথম প্যারার শেষ লাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন অসম্ভব ভক্ত, তাই এটি তাঁর লেখার ওপর অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট একটি মন্তব্য।
মো. শাহাদাত হোসেন
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য