কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কোনো কিছু এমনিতে পাওয়া যায় না। সবই লড়াই করে আদায় করতে হয়। এই লড়াইয়ে কখনো প্রথার ভেতরে থেকে, কখনো বা প্রথা ভেঙে এগিয়ে গেছে নারী। তারা মোকাবিলা করেছে সব প্রতিবন্ধকতা; দাঁড়িয়েছে আপন শক্তিতে। অবদান রেখেছে সমাজ ও রাষ্ট্রে।
গতকাল রোববার ধানমন্ডিতে ছায়ানট মিলনায়তনে কালবর্তিকা: যাদের আলোয় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।
১৯১০ থেকে ২০১০—এই ১০০ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারীদের জীবনী নিয়ে বইটি প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
বইটির মোড়ক উন্মোচন করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন সরকার নারীকে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করেছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নারীকে সরাসরি নির্বাচিত করার বিধান চালু করে। পর্যায়ক্রমে সেনাবাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং পুলিশ সুপার ও হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নারীকে। এ দেশে নারীর অধিকার খর্বও করেছে অনেক নারী।
মতিয়া চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সব বয়সের নারীই মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে। এমন একটি বই প্রকাশ করায় তিনি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। তবে বইটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ নারীর অবদান বাদ পড়েছে, তা সন্নিবেশিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘১৯১০ থেকে ২০১০ মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শতক। এই শতকে পাক-ভারত উপমহাদেশে নারীর অবস্থান এবং তাদের অর্জন সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে। আলাদাভাবে তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে ও দেশের সেরা পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় নারীর অবস্থান। এর পাশাপাশি এই ১০০ বছরে বিভিন্ন অর্জনের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন নারীর তালিকা উপস্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু বলেন, ‘আমরা যখন ৫২ সালে ভাষা আন্দোলন করেছি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের সঙ্গে কথা বললে ১০ টাকা জরিমানা হতো। ছাত্রত্ব চলে যেত। কিন্তু এর পরও আমরা আন্দোলন করেছি।’
আয়োজকেরা জানান, কালবর্তিকা নামের বইটিতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, মানবাধিকার, নারী আন্দোলন, সাহিত্য, রাজনীতি, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, প্রশাসন, অভিবাসন, চিত্রকলা, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন ৪২৭ জন নারীর কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য নূরজাহান বেগম, ভাষা আন্দোলনের জন্য রওশন আরা বাচ্চু ও প্রতিভা মুৎসুদ্দী, শিক্ষার জন্য লতিফা আকন্দ এবং মানবাধিকারের জন্য সুলতানা জামানের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা
আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
নারীরা লড়াই করেই সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রেখেছে
সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় লেখকের কলাম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।