মেহেরপুরে হিমাগারে জায়গা নেই যত্রতত্র পড়ে আছে দুই কোটি টাকার আলু

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১১

স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী কোনো জেলার হিমাগারে জায়গা না পেয়ে মেহেরপুরে প্রায় দুই কোটি টাকার আলু যত্রতত্র পড়ে আছে। উন্নত বীজ ও অনুকূল পরিবেশ পাওয়ার কারণে এবার জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে চাহিদার অতিরিক্ত আলু হওয়ায় বাজারে দাম নেই।
এদিকে সুযোগ বুঝে হিমাগারের মালিকেরা খেয়ালখুশিমতো ভাড়া বৃদ্ধি ও বুকিং স্লিপ বাণিজ্য শুরু করেছেন বলে চাষিদের অভিযোগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, জেলায় এবার এক হাজার ২৫৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে।
মেহেরপুর জেলার বড় আলুচাষি ইয়াকুব আলী জানান, এবার তিনি প্রায় ৭৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। হিমাগারে জায়গার অভাবে তা সংরক্ষণ করতে পারেননি। কিছু আলু তিনি যশোরের হিমাগারে রেখেছেন। বাকি প্রায় ৭০০ মণ আলু সংরক্ষণের অভাবে মেহেরপুর শহরের একটি আমবাগানে মাটিতে স্তূপ আকারে পড়ে আছে। এই আলু দ্রুত সংরক্ষণ করা না গেলে তাঁর প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান হবে।
জেলা ফড়িয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, হিমাগারের অভাবে মেহেরপুরের বিভিন্ন মাঠে এবং হিমাগারের সামনে কিংবা কোনো বাগানে লাখ লাখ টাকার আলু পড়ে আছে। দ্রুত সংরক্ষণ করা না হলে এগুলো পচে যাবে।
গাংনী বামুন্দী গ্রামের আলুচাষি জুলফিকার আলী জানান, আগে বস্তাপ্রতি হিমাগার ভাড়া ছিল ১৮০ টাকা। এবার নেওয়া হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা। আবার বুকিং স্লিপ বাবদ ১০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মেহেরপুরে বেসরকারি পর্যায়ে দুটি এবং সরকারি পর্যায়ে একটি আলু হিমাগার আছে। বেসরকারি পর্যায়ের গাংনী বামুন্দীর জামান হিমাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার মে.টন। অপরদিকে মেহেরপুরের গোপালপুরে রিদমী হিমাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার মে.টন।
জামান হিমাগারের মালিক কামরুজ্জামান জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে হিমাগারে আলু রাখা শুরু হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে হিমাগারের স্থান পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪০০ বস্তা আলু জায়গার অভাবে হিমাগারের বাইরে পড়ে আছে। রিদমী হিমাগারের মালিক আবু জাফর মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, হিমাগারে আলু রাখা নিয়ে চাষিদের চাপ ঠেকাতে তিনি বুকিং স্লিপ পদ্ধতি চালু করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন হিমাগারে যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে মেহেরপুরের হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্যও চাষিদের কাছ থেকে সেই অর্থ নেওয়া হচ্ছে।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য