মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অবস্থান কঠোর করছে। লিবিয়ার বিদ্রোহীরা বলেছে, অবিলম্বে দেশটির বিরুদ্ধে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা কার্যকর না হলে তাদের তিন সপ্তাহের বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
বারাক ওবামা
ওবামা বলেছেন, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিশ্ব তার অবস্থান আরো কঠোর করছে। তবে লিবিয়ার লৌহমানব বিদ্রোহীদের লড়াই ব্যর্থ করতে পারেন- এই মর্মে ‘উদ্বেগের’ কথা স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, লিবিয়ায় রুয়ান্ডা স্টাইলের হত্যাযজ্ঞ এড়াতে বন্ধে বিশ্বের দায়দায়িত্ব রয়েছে। ওবামা বলেন, গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। আর এসবই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া মার্কিন অবরোধের সীমা গাদ্দাফির পরিবার ও আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে নির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা লিবিয়া সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। তাঁরা গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য নো ফ্লাই জোন ঘোষণাসহ বিভিন্ন সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন।
আরব লিগও গতকাল শনিবার বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি প্রদান ও নো ফ্লাই জোন কার্যকর করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আরব লিগের নেতাদের মধ্যে বিভেদের কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁরা হয়তো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না।
লিবিয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিলম্ব করছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এর প্রেক্ষাপটে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো ইতিমধ্যেই গাদ্দাফির টুঁটি চেপে ধরেছে।
ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের অগ্রাভিযানে রাস লানুফসহ কয়েকটি শহরে বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এদিকে গাদ্দাফি বাহিনী বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ট্যাংক, কামানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোর দিকে অগ্রাভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাদের অগ্রাভিযানের মুখে তেলসমৃদ্ধ রাস লানুফ শহর ইতিমধ্যেই ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। এদিকে গাদ্দাফি বাহিনীর বিমান হামলায় দিশেহারা লিবিয়ার বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ওপর ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। রাস লানুফে অনেক বিদ্রোহী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, পশ্চিমারা এখন কোথায়? তারা কীভাবে আমাদের সাহায্য করছে? তারা করছেটা কি?
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি আরব লিগও লিবিয়ার ব্যাপারে মিসরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক শুরু করেছে। এর আগে আরব লিগের মহাসচিব আমর মুসা একটি জার্মান পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎ কারে লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আহ্বান জানান। এপি, এফপি, বিবিসি
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।