একদিন হঠাৎ

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১১

অবশেষে আটক!
রামপুরা থেকে সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল ৪/এ রুটের একটি বাস। বেলা ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে এগুচ্ছিল এটি। হঠাৎ মালিবাগ রেলক্রসিং ক্রস করতেই একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এসে বাসটির পথ আটকালেন। এ সময় কোনো কারণ ছাড়া গাড়ি থামানোর জন্য অনেক যাত্রীই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের কাছে গাড়ি থামানোর কারণ জানতে চাইলেন। জবাবে তিনি বললেন, ‘বাসটিকে ডাম্পিংয়ে পাঠানোর আদেশ জারি হয়েছে অনেক আগেই। আমরা অনেক দিন ধরে বাসটিকে খুঁজছি। আপনারা দয়া করে নেমে যান।’



পুলিশ সদস্যের এ কথায় আর কেউ কোনো কথা না বলে দ্রুত বাস থেকে নামতে লাগল। যাত্রীরা নামার পর সৃষ্টি হলো উল্টো এক দৃশ্যের। অন্য সময় বাসের কন্ডাক্টর সবার কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে। কিন্তু এবার আর কন্ডাক্টর নয়, যাত্রীরাই উদ্যোগী হয়ে তার কাছ থেকে ভাড়ার টাকা ফিরিয়ে নিতে লাগল। তার দুই হাতে ধরে রাখা ভাড়ার টাকা আর তাকে ঘিরে রয়েছে অনেকগুলো হাত। সবাই বলছে, ‘এই, আমার টাকা ফেরত দাও। আমার টাকা ফেরত দাও।’ কন্ডাক্টর বেচারা কী আর করবে, মনের দুঃখে সবার টাকা সবাইকে ফিরিয়ে দিতে লাগল। এ সময় এক যাত্রী মন্তব্য করলেন, ‘যত্তসব ভাঙাচোরা গাড়ি চালাস, ব্যাটা। টাকা ফিরাইয়া দিবি না তো কী করবি?’ —ঢাকায় থাকি প্রতিবেদক

ভাঙচুর...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রোষে পড়ে খোয়া গেছে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের বেশ কিছু জানালার কাচ। বাসটির সামনের কাচের চেহারাও বদলে দিয়েছে ভাঙচুরকারীদের ইট আর বাঁশের আঘাত। কী আর করা, বাসটির হেলপার, কন্ডাক্টর আর চালক তিনজনে মিলে একটু সামনে এগিয়ে বাসটির যে কাচগুলো অর্ধভঙ্গ ছিল সেগুলো নিজেরা ভাঙা শুরু করে দিলেন। বাসটির হেলপারের কাছে জানালার কাচ ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আধাভাঙা কাচ জোড়াতালি দেওয়ার উপায় নাই। আমাদের পুরো নতুন সেট লাগাতে হবে। তাই ভাঙার ফিনিশিং দিচ্ছি।’ —ঢাকায় থাকি প্রতিবেদক

ভুলের মাশুল
দিন কয়েক আগের ঘটনা। তখন রাত সাড়ে ১১টার মতো বাজে। ওই সময়ে রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু ততটা ফাঁকা ছিল না। যানবাহনগুলো ছুটে চলছে। তবে ফার্মগেট পার হতেই এগুলোর গতি কমতে শুরু করল। আস্তে আস্তে এগোতে থাকে। বিজয় সরণি সিগন্যালে এসে লাল বাতি দেখে দাঁড়িয়ে যায় সব যানবাহন। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে সবুজ বাতির জন্য। এর মধ্যেই একটি রেকারকে সাইরেন বাজাতে বাজাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। তখন সবাই বুঝতে পারে এই রাস্তা দিয়ে কোনো ভিআইপি পার হবেন। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। দেখা গেল ভিআইপির গাড়ির বহর রাস্তা দিয়ে চলে যাচ্ছে। এই গাড়ির বহরের মধ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দেখা গেল। এটি দেখে সবাই ‘হই হই’ করে উঠল। অনেকে বলতে থাকল, ‘এটা আবার কী? ভিআইপির গাড়ির বহরে অটোরিকশা যোগ হলো কবে?’। এর উত্তরও দিলেন কয়েকজন। তাঁদের কথা, ‘আরে, এটা ভুলে ঢুকে পড়েছে। একটু অপেক্ষা করেন, অটোরিকশার চালককে এখনই পুলিশে ধরবে।’ ঘটলও তা-ই। ওখানে উপস্থিত সব পুলিশ সদস্য ছুটতে থাকেন ওই অটোরিকশার পেছনে। তাঁরা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে কয়েকজন ফিরে আসেন রাস্তার মোড়ে। আর কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায় অটোরিকশাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে। তারপর চালককে নামিয়ে সবাই মিলে মারতে থাকেন। এর মধ্যে সবুজ বাতি জ্বলে গেছে। যেতে যেতে যাত্রীরা ভাবতে থাকলেন, অটোরিকশার চালকের ভাগ্যে আরও কোনো বড় শাস্তি জোটে কিনা! —রেজাউল রুমী

রিকশার ফোকড়ে বসে
নগরের অন্যতম জনপ্রিয় বাহন রিকশায় চড়েনি অথচ নগরে বাস করে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এক রিকশায় দুজন যাত্রী বসার ব্যবস্থা থাকলেও প্রায়ই তিনজন কিংবা চারজন যাত্রী চড়তে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে যাত্রীরা গায়ে গা লাগিয়ে অথবা একজনের পায়ের ফাঁকে আরেকজন বসে যাতায়াত করে। মালিবাগ রেলগেট থেকে মৌচাক যাওয়ার পথে এক রিকশায় বিচিত্র কায়দায় যাত্রী বসার ভঙ্গি দেখা গেল। রিকশার সিটে পাশাপাশি দুই নারী বসে আছেন। তাঁদের মধ্যে এক নারীর কোলে আবার একটি ছোট ছেলে। যদিও অপর নারীর কোল ফাঁকা। তারপরও এক কিশোরীর ঠাঁই হয়েছে রিকশার ফোকড়ে। —আলী আসিফ

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য