সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে ১/১১'র চেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে : ওবায়দুল কাদের

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০১১

বায়দুল কাদের এই সময়ে আলোচিত এক নাম রাজনীতি অঙ্গনে সরব তিনি সোচ্চার সোজাসাপটা কথা বলেন তবে সুচিন্তিত, সুস্পষ্ট কথা বলেনও শিল্পসুন্দর ভাষায় দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা, অনুশীলন, সেই সঙ্গে গভীর অধ্যয়নের ফলে লক্ষ্যভেদী, অন্তর্ভেদী হয়ে ওঠে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতৃত্বে রয়েছেন চার দশক ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন নিরন্তর সরকারে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন সাংবাদিক ছিলেন গণমাধ্যমের ভাষা বোঝেন, স্পন্দন অনুভব করেন গত তদারক সরকারের সময় কারানির্যাতন সয়েছেন এখন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ভূমিকা রাখছেন দলের ভেতরে বাইরে নানা বিষয়ে বার্তা দিচ্ছেন ফেসবুক-এর মাধ্যমে এক্ষেত্রে এক বিরল রাজনৈতিক প্রতিভা তার সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক-এ তার সক্রিয়তা লক্ষণীয় চার হাজার বন্ধু সেখানে তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন নিজস্ব ভাবনা, বিশ্লেষণ মূল্যায়ন অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারেও বলেছেন অনেক চিন্তাজাগানিয়া কথা, তুলে ধরেছেন তার নিজস্ব পর্যবেক্ষণে পাওয়া বর্তমান রাজনীতির গতিপ্রকৃতির নানা দিক বলেছেন, চ্যালেঞ্জের মুখে বিপর্যস্ত গণতন্ত্রের কথা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওয়ান ইলেভেনের চেয়ে খারাপ অবস্থা ফিরে আসতে পারে দুর্নীতি-সন্ত্রাস মোকাবিলায় সরকারের সমস্যা কোথায়? ওবায়দুল কাদের বলেন- সরকারের ট্রাবলশুটার নেই, ক্রাইসিস ম্যানেজার নেই নির্লজ্জ দলীয়করণ চলতে পারে না- বলেছেন তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সমস্যাগুলো সহনীয় পর্যায়ে আনতে ব্যর্থ হলে মানুষের ক্ষোভের শিকার হতে হবে আর তার নেত্রী? ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি যে রকম টিম লিডার সে রকম টিমওয়ার্ক নেই দলে নেই, সরকারে নেই তবে কমিটমেন্টে একটু ঘাটতিও নেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতকার গ্রহণে কাজল ঘোষ ও লুৎফর রহমান

http://www.noakhaliweb.com.bd/documents/interview/39.jpg

রাজনীতির মাঠে কখনও আপনাকে সরব কখনও নীরব দেখি-

রাজনীতি এক রহস্যময় অভিযাত্রা রাজনীতির দাড়িপাল্লায় কে কখন বড় হয়, হারিয়ে যায়, ফিরে আসে বলা কঠিন রাজনীতিতে উত্থান-পতন, ভাঙা-গড়া আছেই এতে ধৈর্য হারালে চলবে না যারা ধৈর্য হারায় তারা হেরে যায় যারা টিকে থাকে তাদের আদর্শের পরিবর্তন হয় না সে আদর্শ হলো মাটি ও মানুষের কাছে থাকা আমি এখন ক্ষমতার কেন্দ্রে নেই এটা বাস্তবতা তা মেনে নিয়েছি স্মিতহাস্যে মা সবসময় বলতেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালর জন্য করেন সব সময় বাস্তবতা মেনে নেবে’ আমার পিতা এবং শিক্ষকদের কাছ থেকেও একই শিক্ষা পেয়েছি নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ওয়ান ইলেভেন পরবর্তীতে একটি কঠিন জায়গা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি আমার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার সঙ্গে আমার কোনভাবেই পারার কথা না ওয়ান ইলেভেনে ঝড়-ঝঞ্ঝা, জেল-জুলুম সইতে হলো তা মানুষ কিভাবে নিয়েছে তা বোঝার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দুদকের মামলায় তখন আমার সাজা হয়-হয় অবস্থায় বেঁচে গেলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারি অসুস্থতার কারণে লাঠিতে ভর দিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাই ভোটের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি পিছিয়ে ছিলাম পরে চরাঞ্চলের ভোট ফলাফল বদলে দেয় দুর্যোগ এলেই তাদের কাছে ছুটে যাই বলে তারা সেদিন আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল; সমর্থন দিয়েছিল না হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া হয়তো সম্ভব হতো না

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের শাসন নিয়ে নানা কথা শোনা যায়- আপনার মূল্যায়ন কি?

এই যে সংসদ যেখানে এখন আমরা কথা বলছি এই সংসদেই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে আমি যখন খুব অসুস্থ তখন আমাকে ভারতে যেতে দেয়া হয়নি বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার আগে হঠাৎ এসে বলল, উপরের নির্দেশ আছে, বাইরে যেতে পারবেন না আমি ওইদিন যেতে পারিনি সেদিন তারা আমাকে বিদেশ যেতে না দেয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে ফলাও হয়ে প্রচার হলে তাদের টনক নড়ে জনমতের চাপে পরের দিনই আমার ভারতে গিয়ে চিকিৎসার অনুমতি মিলে এজন্য আমি মিডিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ জরুরি শাসন আমলে অনেক অন্যায় হয়েছে তারা বিচারের নামে রুই-কাতলার সঙ্গে চুনোপুঁটিকে গুলিয়ে ফেলেছিল কিন্তু তারা যদি বেছে বেছে ৫০ জন লোককে সাজা দিতে পারতো তা হলে আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়তো তারা এসব করেছে তাদের লক্ষ্য ছিল মাইনাস টু থিওরির বাস্তবায়ন পরে অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তারা সরে আসে তারা বুঝতে পারে, বিরাজনীতিকরণ চলবে না ১১/১ পরিস্থিতির প্রথম দিন সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিলে মানুষ তাদের স্বাগত জানাতো তারা তা না করে অন্যের মাধ্যমে নিজেদের ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল তারা তা পারেনি যাদের মাধ্যমে তারা তা করতে চেয়েছিল তারা তৃণমূলের কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না এটা তো সত্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও পেছন থেকে তারাই দেশ চালিয়েছিল তারা যদি সরাসরি ক্ষমতায় আসতো তাহলে দুই বছর পর এই ছবির পরিবর্তন হতো কিনা তা বলা কঠিন তবে সবকিছুর মধ্যেও জরুরি সরকার বা সেনাবাহিনী দু’টি ভাল কাজ করেছে এক. ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা এবং দুই. একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন

সে সময়ে সরকারের করা মামলার সাজা এখন দেদার বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এর কারণ কি?

দুদকের মামলার একতরফা সাজা বাতিল বিষয়টি আসলে পরিষ্কার হওয়া উচিত এখানে সাজা বাতিল হলেও মামলা প্রত্যাহার হয়নি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে মামলা এখনও নিম্ন আদালতে আছে যাদের মামলায় সাজা হয়নি তাদের মামলা হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে তবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই যেভাবে মামলা দেয়া হয়েছে, তাতে ঠেকানো যাবে না এখানে তাদেরও অনেক দোষ আছে অনেক মামলার উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবেই মামলার সাজা বাতিল হয়ে যাচ্ছে এসব হয়েছে তাদের তাড়াহুড়োর কারণে এতে মামলা ঠুনকো হয়ে গেছে সুশাসনের জন্য শক্তিশালী নিরপেক্ষ ও কর্তৃত্বপূর্ণ দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার বর্তমান কমিশনের আইনেও সংশোধনী আসার কথা তা হলে এই কমিশনও শক্তিশালী হবে বলে কমিশন বলছে এতে সরকারের সদিচ্ছাও আছে এছাড়া কমিশন যেহেতু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেনি তাহলে বুঝতে হবে যে মামলা প্রত্যাহার করতে চায় না তা কোর্টে নিতে চায় সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে আমাদের এখানে দুর্নীতি সিস্টেমের অংশ হয়ে গেছে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আমি বলবো না তা নির্মূল করা যাবে কারণ পৃথিবীর কোন দেশে তা সম্ভব নয় দুর্নীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বাস্তবায়ন না করলে জনগণ বিগড়ে যাবে

এ সরকারের সময়ও প্রায় প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির খবর আসছে-

তা সত্য এর বড় কারণ দলে শক্তিশালী টিমওয়ার্ক না থাকা ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন এমনটি ঘটেনি শক্তিশালী টিমওয়ার্ক থাকায় তখন এ ধরনের অপকর্ম করার কেউ সাহস পায়নি তখন নেতাকর্মীদের বৈধভাবে কাজ করতে দেয়া হয়েছিল এসব বিষয়ে দলীয় ফোরামেও আলোচনা হচ্ছে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে তবে যতটা হওয়ার ততটা হচ্ছে না পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজার বা ট্রাবলশুটার প্রয়োজন এমন কেউ হতে হলে গ্রহণযোগ্যতা লাগে কারণ একজন মারাদোনা হলেই বিশ্বকাপ জেতা যায় না বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ১/১১-র সময় সেরকম ভূমিকা পালন করেছিলেন এখন মনে হচ্ছে এরকম কেউ নেই তারা পারছেন না স্ট্রং ক্রাইসিস ম্যানেজার থাকলে দলে এসব অপকর্ম কমে যেতো দল তৃণমূলে আরও সুসংগঠিত হতো সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয় হতো

নব্য আওয়ামী লীগার, হাইব্রিড, ওয়ান টাইমারদের নিয়ে আপনি সমালোচনামুখর-

হাইব্রিড, নব্য আওয়ামী লীগার বা ওয়ান টাইমার হচ্ছে সুযোগসন্ধানী তারা সুযোগ নিয়ে দলের ক্ষতি করবে নতুনরা দলে আসবে এটা স্বাভাবিক তারুণ্যের শক্তি আর প্রবীণদের অভিজ্ঞতা মিলে দল এগিয়ে যাবে কারণ তারুণ্য হলো অফুরন্ত শক্তি আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে বাদ দেয়া হয় না শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হয় দলের প্রেসিডিয়াম থেকে যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তারা সবাই ৩০ বছর ধরে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন যিনি বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ছিলেন তিনি কতদিন শেখ হাসিনার সহকর্মী থাকবেন? আপনাকে একদিন শেখ হাসিনাকে উপদেশ দিতে হবে একটা বয়সে দায়িত্ব বদলাবে প্রবীণের ভূমিকাও পরিবর্তন হবে তবে নবীন-প্রবীণের কাজের সমন্বয় থাকতে হবে যা এখন হচ্ছে না আবদুল জলিলের ৩০শে এপ্রিলের ট্রাম্পকার্ড নিয়ে রাজনীতিতে বিতর্ক ছিল তবে দায়িত্ব পালনকালে ইনি প্রতিদিন দলের প্রেসিডিয়ামের সব সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন তিনি প্রেসিডিয়াম থেকে তৃণমূল পর্যন্ত টিমওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি নওগাঁর কোন গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরলেও প্রথমে দলের কার্যালয়ে ঢুঁ দিতেন এজন্য নেতাকর্মীরা দলের কার্যালয়ে অপেক্ষা করতো কারণ তারা জানতেন, দলের সাধারণ সম্পাদক পার্টি অফিসে আসবেন

ঘুরেফিরেই ওয়ান ইলেভেন এখনও আলোচনায় আমরা কি তা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি?

গণতন্ত্র এখনও চ্যালেঞ্জে দেশের রাজনীতি অশান্ত-উত্তাল আমি বলবো এই সময়টা সঙ্কট উত্তরণের সঠিক সময় চ্যালেঞ্জ উতরাতে হলে দুর্বলতাকে দূর করতে হবে এখনও সঙ্কট উত্তরণের সুযোগ আছে চার্লস ডিকেন্সের ভাষায় বলা যায়, এখন তো বেস্ট অব টাইম অথবা ওয়ার্স্ট অব টাইম এই সময়কে সমস্যা সমাধানে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এটি হবে বেস্ট অব টাইম আর তা না হলে তা হবে ওয়ার্স্ট অব টাইম এই সঙ্কট বা সমস্যা থেকে নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে রাজনীতিতে এখন বিভাজনের দেয়াল তৈরি হচ্ছে তা ক্রমে উঁচু থেকে উঁচু হচ্ছে সমঝোতার সুযোগ নষ্ট হচ্ছে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সবার ভূমিকা দরকার কাউকে কোন দায়িত্বশীল চেয়ারে বসে দায়িত্বহীন আচরণ বা কথা বলা যাবে না এ পর্যন্ত আন্দোলন করে কোন সরকারের পতন হয়নি গত চার মেয়াদের সরকারই তাদের মেয়াদ পূর্ণ করে ক্ষমতা ছেড়েছে সেসময় সরকার পতনের আন্দোলন হয়েছে বিএনপি এ আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগও করেছে তবে কেউই সফল হননি তারা এখন সংসদে আসেন না বলে পরিবেশ নেই তবে সংসদীয় কমিটিতে বসার বা আসার পরিবেশ আছে এমপিদের বিদেশ সফরের সময় পরিবেশ থাকে তারা অজুহাত দেখিয়ে সংসদে আসছেন না এখানে জনগণের প্রশ্ন করার অধিকার আছে তারা কেন সংসদে আসছেন না? খালেদা জিয়ার বাড়ির বিষয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল তারাই সে সুযোগ নষ্ট করেছেন তারা শেখ রেহানার বাড়ি বরাদ্দ বাতিল করে এর একটি অংশ কে এম হাসানকে বরাদ্দ দিয়েছিল আর একটি অংশে থানা করেছিল সেই থানা আবার সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন সেময়ও তো তারা মানবিক দিক দেখেননি গত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্বাচিত মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তখন আমরা বিএনপিকে বলেছিলাম হরতাল প্রত্যাহারের জন্য তারা তা করেননি আমরা বলেছিলাম সংসদে আসুন কথা বলুন তারা সৌজন্যতাবোধের পরিচয় দিয়ে সংসদে এলে গণতন্ত্রে নতুন মাত্রা যোগ হতো সে সময় তাদের সুযোগ ছিল গ্রহণ করলে ভাল হতো তখন সংসদে বাড়ি নিয়েও বিতর্ক করা যেতো অনেক ক্ষেত্রে পর্দার অন্তরালে অনেক আলোচনা হয় অনেক ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্রোকাররাও জড়িত থাকে এখনও পাওয়ার ব্রোকাররা সক্রিয় শুধু জনমত দিয়ে সব হয় না জনমতকে ভোটের বাক্সে আনতে হলে পাওয়ার ব্রোকারের প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে গত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে তারপরও অন্তত ৫০টি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীরা ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন এই ব্যয় হয়েছে অদৃশ্য নির্বাচন কমিশন এই ব্যয় আটকাবেন কিভাবে এর জবাবই বা তারা কি দেবেন- ১৫ লাখের জায়গায় যেখানে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে? সেটা কিভাবে হলো? এ অবস্থা চললে সামনে ভদ্রলোকের জন্য নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে

১/১১-এর পর আমরা ভেবেছিলাম রাজনীতি আর সাংঘর্ষিক হবে না বিনাশী হবে না তবে দেখা যাচ্ছে রাজনীতি আবারও সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে আবারও প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখা যাচ্ছে এর কোন পরিবর্তন হয়নি এটা দুর্ভাগ্য এর কারণে আবার ওয়ান ইলেভেন আসবে তা আমি মনে করি না আমি মনে করি এর চেয়েও খারাপ অবস্থা আসবে এতে দেশ দুর্বল হবে দেশে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের পরিবেশ হবে সেই সুযোগে দেশে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের উত্থানের আশঙ্কা আছে এসব মোকাবিলায় সবাইকে দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করা জরুরি এই ঐকমত্য ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারা করতে পারছেন আমরা পারবো না কেন? আর তা করতে হলে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের ক্রাইসিস ম্যানেজার দরকার

বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ উঠছে, কোথাও কোথাও দলীয়করণেরও অভিযোগ আসছে, এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন-

ছাত্ররাজনীতির সঙ্কটের কারণ, বছরের পর বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া এই ছাত্র সংসদ হলো রাজনীতির প্রজনন কেন্দ্র প্রতি বছর নির্বাচন হলে ছাত্রনেতারা ভোটের জন্য হলেও ভাল কাজ করবে তারা ছাত্রদের মন জয়ের চেষ্টা করবে ভাল আচরণ করে নির্বাচনের জন্য তৈরি হবে নিজেই ভাল করতে চাইবে নির্বাচন হলে তারা অসুস্থ হাওয়া থেকে সুস্থতার দিকে যাবে এখন নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্রনেতারা নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করছে ফুটপাতে টাকা নিয়ে দোকান বসাচ্ছে এসব থেকে তাদের দূরে রাখতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা প্রয়োজন কেন যে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না তা জানি না অনেকে বলেন, শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এটি অবান্তর কথা কারণ, অতিউৎসাহীরাই শেখ হাসিনার নাম তাদের সংবিধানে ঢুকিয়েছে তিনি তো সকলের ঐক্যের প্রতীক তার সেখানে থাকার দরকার কি? তিনি তো সবার সাংগঠনিক নেত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী হিসেবে তার থাকার দরকার কি?

অনেকে বলছেন, ছাত্রলীগ বা যুবলীগের অপকর্মের দায় সরকার নেবে না এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?

তবে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ যে যা-ই করুক এর সব দায়-দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে তাদের ভাল কাজের ফল নেবেন আর খারাপ কাজের দায়িত্ব নেবেন না তা তো হয় না আমরা কোনভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারবো না যে যা-ই করুক অপকর্মকে অপরাধ ভাবতে হবে কারণ, আমরা ক্ষমতার করিডোরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ যার নামেই এসব হোক আমরা দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারি না নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু হত্যাকাণ্ডকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না যারা তা করেছে তাদের অপরাধী হিসেবে দেখতে হবে বিচারও আমাদের করতে হবে তবে সব ক্ষেত্রে দমনমূলক ব্যবস্থা শুধু সমাধান হতে পারে না দেশে এখন পাঁচ কোটি যুবকের আড়াই কোটি বেকার তাদের কাজ নেই অপরাধ করলে তাদের শুধু শাস্তি দেবেন? কি কারণে তারা বিপথগামী হচ্ছে এর কারণ অনুসন্ধান করবেন না? এসব যুবসমাজের অনেকে হতাশার কারণে অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ হচ্ছে বেকারত্ব থেকে তারা হতাশায় ভুগছে তাদের দমন করাটা কোন সমাধান নয় তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে টেন্ডার তো বৈধভাবেও হয় তা করার সুযোগ দিতে হবে দলীয়করণ কিছু হবে সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেন আর যেখানেই বলেন তবে নির্লজ্জ দলীয়করণ সমর্থন করা যায় না তা করলে আমরা মেধাহীন হয়ে যাবো রাজনীতি মেধাহীন হবে প্রশাসন মেধাহীন হবে দেশের বারোটা বেজে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এক্ষেত্রে সোচ্চার তিনি আগে থেকেই বলে আসছেন রিটেনে পাস না করলে কারও চাকরির জন্য কোন সুপারিশ নয় এসব বিষয়ে তিনি কতগুলো নিয়ম-নীতি মেনে চলেন

যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম এই বিচারের বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

যুদ্ধাপরাধের বিচারে এ সরকারের কাজ হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল গঠন, ইনভেস্টিগেশন ও প্রসিকিউশন সেল করা সরকার এসব করেছে তবে হয়তো আরও জনবলের দরকার আছে মনিটরিং জোরদার করা দরকার এখানে আটঘাট বেঁধে নামার কিছু নেই যৌথবাহিনীর বিচারের মতো এটি যেন এটি প্রহসনে পরিণত না হয় প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে বিচার হতে হবে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ কথা বেশি না বলে কাজ বেশি করতে হবে কিছু লোক এই বিচার নিয়ে কথা বেশি বলছে বিচারের সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে এর কোনটিই ঠিক না এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এখানে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে চিহ্নিত অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে যেমনটি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির মামলার ক্ষেত্রে এর কারণ তথ্যপ্রমাণ ও নিয়মনীতি না মানার কারণে

সরকারের দুই বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মানুষ সরকারের কর্মকাণ্ড তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবে প্রথম তিন বছর শেষ হলে মানুষ হিসাব-নিকাশ শুরু করে দেবে এ হিসাবে আমাদের হাতে আর ১৪ মাস সময় আছে এর মধ্যে মানুষের প্রত্যাশা না পূরণ না হলে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে সরকার দেশে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও পানি সমস্যা সমাধান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, যানজট কমানো এবং যুব কর্মসংস্থান-এসব সমস্যা সহনীয় পর্যায়ে আনতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের মতো অবস্থা হবে সেখানে ভালবাসার ওপর ভর করে ওবামার বিজয় হয়েছিল আর শুধু ক্ষোভের ওপর ভর করে রিপাবলিকানদের জয় হয়েছে আমরা মানুষের এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে মানুষের ভালবাসা ক্ষোভে রূপান্তর হবে যুবসমাজের চাকরির ব্যবস্থা না করতে পারলে সমাজে অস্থিরতা দেখা দেবে এই যে এখন ইভটিজিং হচ্ছে- এগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই তারা যে তালেবানের দিকে যাবে না এর নিশ্চয়তা কই? আফগানিস্তানে গিয়ে ট্রেনিং কারা নিচ্ছে তাদের হাতে কত অস্ত্র? তারা কি বসে আছে? তারা হয়তো বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে সতর্ক থাকতে হবে শুধু প্রধানমন্ত্রীর জীবন বিপন্ন বললে হবে না সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে প্রধানমন্ত্রীর জীবন বিপন্ন না হয় এ বিষয়ে শুধু মুখে কথা বললে মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার হবে তাই কথা না বলে ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা কাজের চেয়ে কথা বেশি বলি স্পর্শকাতর বিষয় আছে যাতে সরকার এবং বিরোধী দলকে সাবধানী হতে হবে

বিরোধী দলের নেতারা যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছেন তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা যুক্তিসঙ্গত?

বিরোধী দলের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি অবান্তর ’৯০-এর পরে চারটি সরকার এসেছে এর কোন সরকারই নির্ধারিত সময়ের আগে ক্ষমতা ছাড়েনি অথচ এ সময়ে সরকার পতনের জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে এক্ষেত্রে বিরোধী দলের উচিত ইতিবাচক রাজনীতি করা সরকার ব্যর্থ হলে মানুষের শাস্তি দেয় ব্যালটে মানুষের সমর্থনের জন্য ইতিবাচক রাজনীতির বিকল্প নেই বিরোধী দল এখনও গত নির্বাচনের পরাজয়ের গ্লানি কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা দলকে সংগঠিত করতে পারেনি এটি তাদের আন্দোলনের পথে বিরাট বাধা বিরোধী দল সংসদে এসে তাদের কথা বলতে পারে এখানে ৩০ জন বড় কথা না বড় কথা হলো বিরোধী দল কারণ বিরোধী দল একটি প্রতিষ্ঠান সংসদীয় সরকারেরই অংশ হচ্ছে বিরোধী দল তাই আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না

ট্রানজিট নিয়ে বিএনপি যে অভিযোগ তুলছে এটা কতটা যৌক্তিক?

ট্রানজিট নিয়ে বিএনপি কথা বলে অথচ সাগরের ২৮টি গ্যাস ব্লকের ২৭টিই আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সমুদ্র আইন করে তা এই ব্লকগুলোর পরিকল্পনা করেছিলেন এই ২৮ ব্লকের এখন দু’টিও আমাদের নেই এই ২৮ ব্লকের ১৭টি মিয়ানমার এবং ১০টি ভারত দাবি করছে এ কারণে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে সালিশে গিয়েছি এখানে দুই দেশ ছাড়া চীনও জড়িত এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক শক্তি আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বিএনপি বলছে ট্রানজিট শুল্কের কথা আসলে ট্রানজিটে শুল্ক না ফি দিতে হয় বাংলাদেশ এই ফি ছাড়া কেন নিজের স্বার্থ বিকিয়ে দেবে? আমার যা প্রাপ্য তা বুঝে নিয়ে আমরা ট্রানজিট দেবো ট্রানজিট থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নিলে হবে না কারণ এই ট্রানজিটে শুধু ভারত না-নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন এমনকি ইউরোপ পর্যন্ত এতে যুক্ত হবে

আপনি সংবাদমাধ্যমে দল ও সরকারের বিভিন্ন দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেন, এই কথাগুলো দলীয় ফোরামে বলেন না কেন?

দলীয় ফোরামে কথা বলা আর বাইরে বলার কোন পার্থক্য নেই কারণ কোন কথা গোপন থাকে না দলীয় ফোরামে এসব না বলার কারণ হলো ফোরামে কথা বললেও তা গোপন থাকে না দলীয় ফোরামে বললেও তা গোপন থাকে না তবে তা অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশ হয় এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় তাই বাইরে সরাসরি কথা বলি যা সরাসরি প্রকাশ হয় আমি যা বলি তা ভেবেচিন্তে বলি এছাড়া আমি যদি কিছু পাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখতাম তাহলে আমি চুপচাপ থাকতাম অন্যরা যা করে তাই করতাম
যারা চুপচাপ আছে তাদের অনেকে অপরাধ করেছে নেত্রীকে জেলে রেখে আমরা কি ভাল আচরণ করেছি সে কথাও ভুলে গেলে চলবে না সেদিন কর্মীরা ঘাট বেঁধে না দাঁড়ালে কি সেই ছবির পরিবর্তন হতো আমি সব নেতার কথা বলছি না জেলের বাইরে থাকলে আমার ভূমিকা কি হতো আমি জানি না অনেকে হয়তো ভয়ে তা করেছে আমি বলবো এটি নেতৃত্বের ভীতি এবং কাপুরুষতা তবে বেইমানি বলবো না অনেকে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন নেত্রীরও তো সেই বেদনা থাকতে পারে ক্ষোভ থাকতে পারে মূল্যায়নের অবমূল্যায়নের অনেক কিছু আসে

অনেকে বলে, আপনি না পাওয়ার বেদনা থেকে কথা বলছেন বা কিছু পাওয়ার জন্য বলছেন- এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

আমি প্রমাণ করবো আমি ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ বা বেদনা থেকে এসব কথা বলছি না হৃদয়ের অনুভূতি প্রকাশ, বিবেকের ভাষা আর তাড়নায় আমি স্পষ্ট উচ্চারণ করছি এটি সৃষ্টিশীল রাজনীতি আমি আমার অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট আমি আওয়ামী লীগের মতো দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমি শেখ হাসিনার কাছে না থাকলে এই পাদপ্রদীপের আলো দেখতে পেতাম না আমি সূর্যের আলোতেই আছি আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষের ছায়া থেকে আমি সরে গেলে আমার সঙ্গে কেউ যাবে না অনেকে সরে গেছে তবে যারা আছেন তাদের রক্ষা করতে হবে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকেও রক্ষা করতে হবে কারণ তাকে অনেকে ভুল পরামর্শ দিতে পারে আমি ক্ষমতা থেকে বাইরে এজন্য অনেক কিছু কানে আসে অনেক কিছু শুনতে পাই চোখে দেখি এটি যারা ক্ষমতার করিডোরে আছেন তাদের জানা সম্ভব হয়নি

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে মূল্যায়ন করবেন কিভাবে?

দেশ ও জনগণের জন্য ওনার কমিটমেন্ট শতভাগ আইকিউ খুব শার্প ভাল প্রশাসকও তবে তিনি অভ্রান্ত তা তো বলা যাবে না কারণ তিনি ফেরেশতাও নন, দেবীও নন তবে দুর্বল দিক হলো দলে এবং সরকারে টিমওয়ার্ক নেই তিনি যেরকম টিম লিডার সেরকম টিমওয়ার্ক নেই তবে প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্টের ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি নেই

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য