অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সম্পদের ওপর করারোপ নিয়ে তিনি নিজেই উদ্বিগ্ন ও বিভ্রান্ত। তাই বিষয়টি নিয়ে তাঁকে আরও চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, এটা চালু হওয়া ঠিক হবে কি না। বিশেষ করে আবাসন খাতে এর প্রভাব নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এনবিআর: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে সংস্কার কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় কর আদায় করাটাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ দরকার হলো সরকারের সম্পদ বাড়ানো।

কর্মশালায় ‘প্রস্তাবিত সম্পত্তি করের যৌক্তিকতা ও বৈশিষ্ট্য’, ‘এনবিআরের সংস্কার বা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত ও গৃহীতব্য কর্মসূচি’ এবং ‘বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পদ্ধতি, নতুন মূসক আইন এবং এর প্রধান বৈশিষ্ট্য’ শীর্ষক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। তবে মূল আলোচনা হয় সম্পদের কর নিয়ে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া এতে অংশ নেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, এনবিআরের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন, আমিনুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় এনবিআরের পক্ষ থেকে সম্পদ কর নিয়ে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদের কর চালু রয়েছে। বাংলাদেশেও তা চালু করা উচিত। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে।
কর্মশালায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি সম্পদের করের বিরুদ্ধে এবং এটা তাঁর কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না।
কর্মশালায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মোস্তফা কামাল, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি পারভীন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।