বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন প্রতিবেদন যুক্তিসঙ্গত নয় দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ ও দুর্বল।
সোমবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনটির গবেষণা ও সূত্রের অপর্যাপ্ততা রয়েছে এবং অসমর্থিত সূত্রের কারণে আমার কাছে দুর্বল বলে মনে হয়।’
তিনি জানান, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক একটি প্রতিবেদন, যেখানে মানবাধিকার বিষয়টি তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্র, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন যা নির্ভরযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত নয় বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আদালতে বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ন্যায়বিচার না পাওয়া, অপরাধ প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহভাজনদের আটক রাখা এবং সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান ও গ্রেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
এছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনে আইভোরি কোস্টে বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, মিশনে কর্মরত ১২০ বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যের আবাসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ অভিযান শুরু করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরে পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।