আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত কৌশলে আমিনীকে ব্যবহার করে হরতাল করিয়েছে। এ হরতাল আমিনীর নয়, এটা বিএনপির-জামায়াতের। এ হরতাল খালেদা-নিজামীর।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, তারা নারীনীতি ও শিক্ষানীতির প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে পারে না। তাই আমিনীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
আজ সোমবার বিকেলে ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, হরতালের পক্ষে বিএনপি-জামায়াত টাকা ও কর্মী সরবরাহ করেছে। তিনি খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নারীনীতি ও শিক্ষানীতি নিয়ে আপনারা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করুন। হরতাল ডাকুন। আমিনীর পাঞ্জাবির নিচে কেন আপনারা আশ্রয় নেবেন। তাঁর পাঞ্জাবির নিচে লুকোচুরি খেলবেন কেন?’
হরতাল সফল হয়নি বলে মন্তব্য সৈয়দ আশরাফ বলেন, হরতালে জনগণ সাড়া দেয়নি। কেবল বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা মাঠে ছিল। যারা সন্ত্রাস করেছে, তাদের আইনে সোপর্দ করা হবে। সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, নারীনীতি ও শিক্ষানীতি সবার মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যাঁরা নারীনীতির বিরোধিতা করছেন, তাঁরা তা পড়েই দেখেননি। যে কেউ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন। সরকার স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কোরান-সুন্নাহ বিশ্বাস করে। নারী-পুরুষের সম-অধিকারে বিশ্বাস করে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া সৌদি আরব গেলেন ওমরাহ হজ করতে। তাঁকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। ওমরাহ হজ করতে গেলে কাউকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, এমনটা বর্তমানে তো নয়ই, পাকিস্তান আমলেও দেখিনি। প্রতিবছর দেশের হাজার হাজার মানুষ হজ পালন করেন। কেউ তো সংবর্ধনা নেননি। উনি কী লঙ্কা বা সৌদি আরব বিজয় করে এসেছেন যে তাঁকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দিতে হবে?’ সৈয়দ আশরাফ বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। রেমিট্যান্স প্রবাহও ভালো। পর্যায়ক্রমে এটা বাড়তেই থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি স্বত্ত্বেও শ্রমশক্তি রপ্তানি অব্যাহত থাকবে। বিএনপি তাদের পাঁচ বছরে যত শ্রমশক্তি রপ্তানি করেছে, বর্তমান সরকার গত দুই বছরে তার চেয়ে বেশি শ্রমশক্তি রপ্তানি করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। সার, তেল ও ডিজেলের কোনো সংকট নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন কম। তা ছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।
মুজিব নগর দিবসের কর্মসূচি: আজ বিকেলে ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা হয়। সভায় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। তিনি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।