প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা মন্ত্রিসভাকে অবহিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ওই বৈঠকে জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া ও তারল্য নিয়ে জনমনে নানা ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। সৈয়দ আশরাফ বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির এসব বিষয় তথ্যভিত্তিক ও গবেষণামূলক হওয়া দরকার। অনেক সময় অতিরঞ্জিত হয়ে এসব বিষয় প্রকাশিত হয়। এই আলোচনায় অন্য মন্ত্রীরাও অংশ নেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বলা হয়, আমানতের ওপর সুদের হার বাড়ানোকে উপলক্ষ করে ব্যাংকঋণের ওপর সুদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই জানতে চান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিবছর প্রচুর মুনাফা করার পরও ব্যাংকের সুদের হার এক শতাংশ বাড়ানো হলো কেন? ঋণের সুদ ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো উচ্চহারে সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে। এসব ব্যাংকের কোনো জবাবদিহি নেই বলেও মন্তব্য করেন কোনো কোনো মন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী অর্থসচিবকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রিসভাকে জানাতে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মন্ত্রিসভা বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ফ্রেম ওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন দ্য প্রমোশন অ্যান্ড লিবারেলাইজেশন অব ট্রেড ইন সার্ভিস অ্যামং আপটা পার্টিসিপেটিং স্টেটস’ স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, ২০০৫ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা) জোট গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও আপটার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলঙ্কা। এ দেশেগুলোর মধ্যে ৫৮৭টি পণ্যে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।