২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক ঘরে চাকরি দেওয়া হবে। এখন ২০১১ সাল। গত সপ্তাহে ২৯তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলো। এতে কোটা পূরণ না হওয়ায় প্রায় ৭০০ পদ শূন্য রাখা হয়েছে। এসব কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটাই সিংহভাগ। ২৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলেও প্রায় ৬০০ পদ শূন্য ছিল। প্রসঙ্গত, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা পূরণ না হলে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তাঁদের সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা রাখা অবশ্যই যুক্তিসংগত। কিন্তু এই কোটা পূরণ না হলে মেধাক্রম অনুসারে প্রার্থী না নিয়ে শূন্য পদ বাড়ানোটা কতখানি যুক্তিসংগত? শূন্য পদগুলো দিন দিন কেবল বাড়বে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এটাও নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা লিখিত পরীক্ষায় পাস না করলে তাদের জন্য সংরক্ষিত পদগুলো মেধা অনুসারে প্রার্থী নেওয়াটা কি খুব অন্যায় হবে? আমি বাংলাদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। বলতে দ্বিধা নেই, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী। নেতা বলতে পারছি না, কারণ গত আট বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কমিটি হয়নি, আর তাই আমারও কোনো পদ নেই। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খুব শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাঁর এই নীতিটায় আমার একটু দ্বিমত আছে। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের এক হিসাবমতে, সব মন্ত্রণালয় মিলে নন-ক্যাডার প্রায় ৩৫ হাজার পদ শূন্য আছে। ২৮তম বিসিএসে প্রায় দুই হাজার ৭০০ এবং ২৯তম বিসিএসে তিন হাজার ৩৩৯ জন প্রার্থী নন-ক্যাডার পদের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কর্মকমিশনের জটিলতার কারণে এর প্রায় ৩ শতাংশ পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের। এবারও হয়তো সে রকমই কিছু হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, এত পদ থাকার পরও কেন উত্তীর্ণ মেধাবী প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না; যেখানে আপনি ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন?
লোটাস
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
মিষ্টির প্যাকেট
মিষ্টির সঙ্গে প্যাকেট দেওয়া অতি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে যে প্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অতিমাত্রায় পুরু। মিষ্টি ওজনের সময় মিষ্টির দোকানি কভারসহ সম্পূর্ণ প্যাকেট ওজন করছে, যা মিষ্টির দামের সমতুল্য হিসেবে ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। প্যাকেটের কভার বা ঢাকনাগুলো এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা সম্পূর্ণ প্যাকেটকে ঢেকে রাখছে। দেখা গেছে, কোনো কোনো প্যাকেটের ওজন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। একদিকে মিষ্টি বিক্রির সময় তার রসিদ না দিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে, অন্যদিকে মোটা প্যাকেট দিয়ে কম মিষ্টি সরবরাহ করে অধিক মুনাফা করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
উন্নয়নকর্মী, সাতক্ষীরা
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।