লিবিয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সংযম প্রদর্শনেরও তাগিদ দিয়েছে। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
লিবিয়ার চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে বরং লিবিয়ার জনগণের আশা আকাক্সার কথা মাথায় রেখে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপরই জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।
লিবিয়ায় চলমান পরিস্থিতির ওপর বাংলাদেশ ঘনিষ্ট নজর রাখছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বলেছে, একান্ত অনিবার্য হয়ে পড়লে এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে নিষ্ক্রীয় করার প্রয়োজনেই কেবল জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের আওতায় সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। অন্যথায় নয়।
এখনো লিবিয়ায় বিভিন্ন স্থানে থেকে যাওয়া বাংলাদেশিসহ সেখানকার সকল বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশের তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
লিবিয়ায় সরকারি বাহিনী ও গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলার হাত থেকে ‘সাধারণ মানুষ’কে বাঁচাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৭৩ নম্বর রেজুলেশন পাস করে। সেখানে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি ও সহিংসতা বন্ধের আহবান জানানো হয়।
এটি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক জোটের মাধ্যমে ‘ওডিসি ডন’ নামে ন্যাটোভূক্ত তিন পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের বিমান ও রণতরী থেকে লিবিয়ায় হামলা চালানো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জোটের ওই আক্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশের বক্তব্য হলো: লিবিয়ার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে রেজুলেশন ১৯৭৩ গ্রহণ করা হয়। লিবিয়ার চলমান সংকট মোকাবেলায় সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে, লিবিয়ার জনগণও সেটাই চায়।
লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে সোমবারের এই অবস্থান গ্রহণের আগে রোববার নিরাপত্তা পরিষদের ওই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানায় বাংলাদেশ।
সেদিন পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নই, তাই এর পক্ষে বা বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। তবে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।’
তারিখঃ ২০শে-মার্চ- ২০১১
সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।