সর্বশেষ হারটা ছিল ১৯৯৯ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে হেডিংলিতে। এর পর বিশ্বকাপের ৩৪ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অপরাজেয় যাত্রা। অস্ট্রেলিয়ার যাত্রাটা আজ থামল প্রেমাদাসায়। প্রায় এক যুগ পর থামাল সেই পাকিস্তানই!
অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। ৬ ম্যাচে ৫ জয় আর ১ হারে শহীদ আফ্রিদির দলের পয়েন্ট ১০। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৯। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কার অবস্থান দ্বিতীয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড আছে চতুর্থ স্থানে।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, তিন ক্রিকেটারের ওপর নিষেধাজ্ঞা, অধিনায়কত্ব বিতর্ক—সবকিছু পেছনে ফেলে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলা পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যটা সহজ। অস্ট্রেলিয়াকে থামাতে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৭৭ রান। আসাদ শফিক, উমর আকমলদের ব্যাটে চড়ে ৯ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানি বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ১৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে প্রথম আঘাতটা হানেন উমর গুল। শেষ আঘাতটাও হানেন পাকিস্তানের এই ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার। ব্যাটসম্যানদের হতাশার দিনে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রাড হাডিন ও মাইকেল ক্লার্ক। এ দুজন করেন যথাক্রমে ৪২ ও ৩৪ রান। স্টিভেন স্মিথ করেন ২৫ রান। অসি ব্যাটসম্যানদের উল্লেখ্যযোগ্য সফলতা বলতে এটুকুই। পাকিস্তানের হয়ে উমর গুল তিনটি ও আবদুল রাজ্জাক দুটি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১৭৬/১০ (৪৬.৪ ওভার)
হাডিন ৪২, ক্লার্ক ৩৪
গুল ৩০/৩, রাজ্জাক ৮/২
পাকিস্তান ১৭৮/৬(৪১ ওভার)
আসাদ শফিক ৪৬, উমর আকমল ৪৪*
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।