২০০৫ সালে সার্ক সম্মেলন স্থগিত হয়েছিল ভারতের কারণে

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজেদের ব্যাপারে বাংলাদেশকে আরও সচেতন করতে ওই সময় ভারত সম্মেলনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে সে বছর সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নভেম্বর মাসে।
ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোপন তারবার্তার বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মার্কিন দূতাবাস ওই তারবার্তাটি ওয়াশিংটনে পাঠায়। এই তারবার্তায় ২০০৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্কালীন পরিচালক তারানজিত্ সান্ধুর মধ্যকার আলোচনার বিষয় উল্লেখ করা হয়।
দ্য হিন্দু উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছে, দিল্লির এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রতি তাদের বড় ভাইসুলভ আচরণকেই ইঙ্গিত করে।
২০০৫ সালের ৬ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ১৩তম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে ভারত সম্মেলনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে তা স্থগিত করা হয়। বিধান অনুযায়ী, সার্কের কোনো সদস্য দেশ যদি সম্মেলনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তা স্থগিত করতে হয়।
তখন ভারত ওই সম্মেলনে অংশ নিতে না পারার দুটি কারণ উল্লেখ করেছিল। প্রথমত, নেপালের রাজা কর্তৃক সে দেশে জরুরি অবস্থা জারি এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি।
২০০৪ সালে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া ওই সম্মেলনের ঠিক আগমুহূর্তে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের হবিগঞ্জে এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তবে ওই বছরের নভেম্বর মাসে শেষ পর্যন্ত সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উইকিলিকসে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় সার্ক সম্মেলন স্থগিত হওয়ার মূলে ছিল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাজে কূটনৈতিক সম্পর্ক।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালক তারানজিত্ সান্ধু ওই সম্মেলনে ভারতের অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি বিশেষ বার্তা দিতেই ভারত সার্ক সম্মেলনে অংশ নেয়নি।
মার্কিন গোপন তারবার্তার তথ্য অনুযায়ী, সে সময় সান্ধু দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বলেছেন, বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা এবং ভারতবিরোধী আবেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ঢাকার ওপর চাপ সৃষ্টির প্রয়োজন ছিল।
বাংলাদেশের তত্কালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভারতবিরোধী মন্তব্যের একটি তালিকাও তিনি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেন। সান্ধু বলেছেন, ঢাকাকে দিল্লির পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়ার এটাই সময়। এই বার্তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশেকে ভারতের ব্যাপারে আরও সচেতন করে তোলা।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য