গণঅসন্তোষ নিবারণে প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১১

জনগণের সরকার এবং জনবিরোধী সরকারের মধ্যে পার্থক্যটা কি? প্রশ্নটা একবার করা হয়েছিলো সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে শেরে বাংলা ফজলুল হককে। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, 'জনগণের সরকার জনগণের দাবি-দাওয়া দেরিতে হলেও মেনে নেয় এবং এই মেনে নেওয়াটাকে তারা পরাজয় মনে করে না। অন্যদিকে জনদাবির মুখে গুলি চালিয়ে জনবিরোধী সরকার তা দমন করতে চায়। জনদাবি মেনে নেওয়াটাকে সে তার পরাজয় মনে করে।'

বহুকাল আগে কথাটা বলা হলেও এটা যে কতো বড় সত্য, তা বোঝা গেল মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিলে নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরি করার বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের- বিশেষ করে বিমান বন্দরের জন্য ভূমি হারানোর ভয়ে শঙ্কিত কৃষকদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, সেই আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বিলে বিমান বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। গত বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) কেবিনেট মিটিংয়ের পর তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ''প্রস্তাবিত বিমান বন্দরটি তৈরি হলে ভালো হতো। কিন্তু জনগণ না চাইলে তা করা হবে না।" অর্থাৎ আড়িয়ল বিলে আর নির্মিত হবে না বিমান বন্দরটি।

যদি আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার না হতো, তাহলে কি হতে পারতো? সরকার জনগণের সঙ্গে কনফ্রন্টেসনে যেতেন। মুন্সিগঞ্জে জমি রক্ষার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে যেখানে একজন পুলিশ অফিসার মারা গেছেন, অন্য কোনো জনবিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেখানে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ডজন খানেক বিক্ষোভকারী নিহত হতো। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাতেই এটা হয়নি। মুন্সিগঞ্জ কিলিং ফিল্ডে পরিণত হয়নি। সংঘর্ষ ও রক্তপাত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। তিনি সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। প্রমাণ করেছেন তার সরকার জনগণের সরকার এবং জনগণের দাবি-দাওয়াকে তার সরকার সম্মান করেন।

যদি এ সময় বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকতো এবং তারা এই ধরনের একটি পরিকল্পনা নিয়ে জনগণের বা কৃষকদের বিরোধিতার সম্মুখীন হতো তা হলে কি ঘটতো। প্রশ্নটির জবাব খোঁজার দরকার নেই। একটু পেছনে তাকালেই তার জবাব পাওয়া যাবে। বিএনপির শাসনামলে কৃষকেরা সার সঙ্কটে সরকারের কাছে সার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। খালেদা জিয়া কৃষকদের দাবি মানেননি। সারের বদলে তাদের উপহার দিয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে নিহত ১৮ জন নিরীহ কৃষকের লাশ। বড়পুকুরিয়ার ঘটনায় বিএনপি সরকারের শক্তি প্রয়োগে গণদাবি মোকাবিলা করার চেষ্টার কথা এতো শীঘ্র কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এমনকি সাংবাদিকদের অসন্তোষের মুখেও বিএনপি সরকারকে কঠোরভাবে দমননীতি প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেই আইয়ুব-মোনেমের যুগেও কখনো পুলিশ ঢোকেনি। কিন্তু খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে সেই প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো পুলিশ ঢুকে বেধড়কভাবে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে।

এ জন্যেই আড়িয়ল বিলে একটি আধুনিক ও উন্নতমানের বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যয়বহুল একটি বিরাট প্রোজেক্ট থেকে শুধু জনগণের আপত্তি ও আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরে আসায় শুধু আনন্দিত হইনি, সেই আনন্দের বহি:প্রকাশ হিসেবে তাকে অভিনন্দনও জানাচ্ছি। জনগণের আন্দোলনের বিজয়ের অর্থ জনগণের সরকারেরও বিজয়। এ ক্ষেত্রে পরাজয় ঘটেছে তাদেরই, বিশেষ করে জনগণকে উস্কানিদাতা বিএনপি-জামায়াত ও স্বার্থসংশিস্নষ্ট মহলগুলোর, যারা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, উস্কানি দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনায় পরিণত করে নিজেদের রাজনৈতিক অশুভ উদ্দেশ্য সফল করতে চেয়েছিলো এবং একজন দায়িত্ব পালনরত পুলিশ অফিসারের নির্মম মৃতু্যর কারণ ঘটিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য নির্দোষ কৃষক বা স্থানীয় জনগণকে হয়রানি না করে এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য স্বার্থসংশিস্নষ্ট চক্রের ভাড়াটিয়া দুবর্ৃত্তদের খুঁজে বের করা ও শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।

মুন্সিগঞ্জে বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও শক্তি প্রয়োগে পুলিশ বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করায় সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করেছেন। এটা কতোটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে তা আমি জানি না। যদি এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হয় তবে সে দায়িত্ব নিতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আর কাউকে নয়। মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার ঘটনার ব্যাপারে দায়ি হলে তার আচরণ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সাসপেন্ড করা যায়। কিন্তু সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সামগ্রিক ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিজের বা তার মন্ত্রকের অক্ষমতার জন্য পদত্যাগ করতেন সেটাই হতো এই ব্যাপারে সবচাইতে যৌক্তিক ব্যাপার। সব গণতান্ত্রিক দেশেই কোনো ঘটনায় বড় রকমের দাপ্তরিক ব্যর্থতায় সংশিস্নষ্ট মন্ত্রী পদত্যাগ করেন অথবা অপসারিত হন। ভারতে নেহেরু মন্ত্রিসভার আমলে একটি বড় রেল দুর্ঘটনা নিশ্চয়ই তৎকালীন রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ঘটাননি। কিন্তু এই দুর্ঘটনার দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন স্থান বাছাই শেষে যখন চূড়ান্তভাবে আড়িয়ল বিল এলাকা মনোনীত হয় তখনই তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আপত্তি দেখা দিয়েছিলো। যে বিশাল এলাকা বিমানবন্দরের জন্য সরকারের অধিগ্রহণের কথা, তার মধ্যে সাধারণ মানুষের বাস্তুভিটা আছে, সুফলা ফসলি জমি আছে, বিস্তীর্ণ জলাভূমি, বিল ও হাওর আছে; যেখানে মাছ চাষের উপরেও স্থানীয় মানুষের আয় উপার্জন নির্ভরশীল। স্বাভাবিকভাবেই জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভেবে তারা শঙ্কিত হয়েছে। প্রথমে তারা এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। পরে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।

সরকারের উচিত ছিলো, প্রথমেই এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ উস্কানিদাতাদের খপ্পরে পড়ার আগেই সরকার কিভাবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবেন না তা তাদের বুঝিয়ে বলা অথবা জনঅসন্তোষ তাতে দূর হবে না বুঝতে পারলে অন্য কোনো এলাকায় বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প সরিয়ে নেওয়া। সরকার তা করেননি অথবা করতে পারেননি। ফলে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত এবং স্বার্থসংশিস্নষ্ট কয়েকটি মহল। পরিস্থিতি লাগামের বাইরে যাওয়ার মুখে এবং রক্তপাত ও প্রাণহানি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকেই শেষ পর্যন্ত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে তার মন্ত্রিসভার অনভিজ্ঞতা এবং সঙ্কট মোকাবিলায় অক্ষমতা আরও ভালোভাবে ধরা পড়েছে।

কোনো জনঅসন্তোষ যখন স্বত:স্ফূর্তভাবে দেখা দেয়, তখন একটি গণতান্ত্রিক সরকারের উচিত গোড়াতেই তাকে আমলে নেওয়া। সমস্যাটি দেখা দেওয়া মাত্র তাকে ডিফিউজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ- যাতে সরকারের বিরোধীরা, বিশেষ করে শত্রুপক্ষ তার সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে। গণদাবিটি ন্যায্য হলে জনগণের সরকারের সেটি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেওয়া উচিত। আর ন্যায্য না হলে সরকারের প্রতিনিধিদেরই উচিত জনগণের একেবারে দোরগোড়ায় গিয়ে তাদের ভয় ও শঙ্কা যে অমূলক সেটা তাদের বুঝিয়ে বলা। আড়িয়ল বিল সম্পর্কে যখন জনঅসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছিলো তখনই সরকারের সংশিস্নষ্ট মন্ত্রক, মন্ত্রকসমূহ এবং এলাকার মন্ত্রী ও এমপিদের সতর্ক ও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিলো। প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্পর্কে সর্বাগ্রে অবহিত করা উচিত ছিলো। বিমান বন্দর করার পথে ঢাকায় বসে লম্বা লম্বা বক্তৃতা-বিবৃতি না দিয়ে জনসংযোগ বাড়ানো উচিত ছিলো। সেটা তারা করেছেন কি? শেষ পর্যন্ত সমস্যা যখন সংকটে পরিণত হয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একা কতোদিক সামলাবেন? বিদেশে একটি সফল সফর শেষে দেশের মাটিতে পা দিয়েই তাকে শুনতে হয়েছে, মুন্সিগঞ্জে প্রস্তাবিত বিমান বন্দর নিয়ে গণঅসন্তোষ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং একজন পুলিশ অফিসারের নির্মম মৃতু্য ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার সরকারে ঘর সামাল দেওয়ার যোগ্যতা ও দক্ষতা রাখেন এমন কেউ কি নেই?

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সিঙ্গুর ও নন্দিগ্রামের সাম্প্রতিক কৃষক বিদ্রোহের ঘটনায় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা গ্রহণ ও সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। চৌত্রিশ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকারের জনপ্রিয়তা কংগ্রেস, বিজেপি, কোনো দল বিনষ্ট করতে পারেনি। এখন একটি মাত্র কৃষক-বিদ্রোহ দমন নীতি প্রয়োগে থামাতে গিয়ে আজ বামফ্রন্ট সরকারের পতনোন্মুখ অবস্থা। অথচ রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের স্বার্থেই সরকার সিঙ্গুর ও নন্দিগ্রামে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে বেসরকারি মালিকানায় মোটর কারখানা স্থাপন করতে চেয়েছিলো।

এখানেও বামফ্রন্ট সরকারের উচিত ছিলো এ সম্পর্কে আগে এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের মনোভাব যাচাই করা। তারা রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের বিরোধী ছিল না। কিন্তু তাদের আবেদন ছিলো, ওই এলাকার কৃষিজমি অত্যন্ত উর্বর, তাতে দু'ফলা এমনকি ত্রিফলা ফসলও জন্মে। সুতরাং সরকারের উচিত কৃষিজমি নষ্ট না করে পাশেই যে বিরাট অনুর্বর ও পতিত জমি রয়েছে, তাতে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করা।

সাধারণ মানুষের এ দাবিকে বামফ্রন্ট সরকার কোনো পাত্তা দেননি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বলেছেন, তারা সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন না। ফলে কৃষকদের অসন্তোষ আন্দোলনে পরিণত হয়। আন্দোলন দমনে একটি কমু্যনিস্ট সরকার কৃষকদের উপর গুলি চালিয়ে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেন। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় দল হয়ে ওঠে এবং রাজ্যের আগামী নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকারের জন্য সবচাইতে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের শিল্পোন্নয়ন পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি সংকটের মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের মতো জেদ ও অদূরদর্শিতার পরিচয় দেননি। জনগণের সরকারের প্রতিভূ হিসেবে তিনি জনগণের দাবি মেনে নিয়েছেন। জনগণের মিত্রবেশী শত্রুদের খপ্পরে তিনি তাদের ঠেলে দেননি। এখানেই তার জয় এবং তার সরকারের শত্রুদের পরাজয়।

ঢাকায় একটি আরও উন্নত ও আধুনিক বিমান বন্দরের দরকার নেই এবং বর্তমান ঢাকা বিমান বন্দরকে সম্প্রসারিত করেই প্রয়োজন মিটানো সম্ভব-এমন যুক্তি যারা দেখাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করি না। দেশের দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থেই বর্তমান বিমান বন্দরটির উন্নয়নের পাশাপাশি আরেকটি বড় এবং উন্নত বিমান বন্দর নির্মাণ প্রয়োজন। তবে এই বিশাল ব্যয়ের পরিকল্পনার প্রায়োরিটি সম্পর্কে বিতর্ক থাকতে পারে।

হাসিনা সরকারের উচিত আবেগ তাড়িত হয়ে কোনো বড় পরিকল্পনায় হাত না দেওয়া। নতুন বিমান বন্দর নির্মাণের ব্যয়বহুল প্রোজেক্টে যদি সরকারকে হাত দিতেই হয়, তাহলে অর্থের সঙ্কুলান, স্থান নির্বাচন এবং মনোনীত স্থানের জনসাধারণের আবেগ, অনুভূতি ও মতামতকে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে এই কাজে হাত দেওয়া উচিত। প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জন্য অন্যত্র জায়গা দেখা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে তাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে এগুতে হবে। দেশের জরুরি সমস্যাগুলো সমাধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর নামযুক্ত একটি আধুনিক ও উন্নত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকায় হোক এটা দেশের মানুষ চায়। মুন্সিগঞ্জের মানুষ যে এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে, তা বঙ্গবন্ধুর নামের জন্য নয়; তাদের নিজেদের জমিজমা ও বাস্তুভিটে হারানোর ভয়ে জানিয়েছে। এখন অন্য যেকোনো এলাকাতেই সরকার এই বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করুন না কেন, আগে স্থানীয় মানুষের মন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় দূর করতে হবে। এই ভয় দূর করা গেলে সরকার দেখবেন, বঙ্গবন্ধুর নামে বিমান বন্দর নির্মাণে জনসাধারণ উৎসাহ সমর্থন ও সহযোগিতা অবশ্যই দিবে। এ কাজে বিএনপি-জামায়াতের বা স্বার্থসংশিস্নষ্ট কোনো মহলের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারবেন না।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য