১০ এপ্রিল নয়, ১৭ এপ্রিল
৯ মার্চ ২০১১, বুধবার, প্রথম আলোর সম্পাদকীয় বিভাগে সৈয়দ আবুল মুকসুদের সহজিয়া কড়চা কলামে ‘আমাদের প্রত্ন সম্পদ আমাদের অহংকার’ শিরোনামে লেখাটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই লেখায় ঐতিহাসিক একটি ঘটনার তারিখে তথ্যগত ভুল রয়েছে।
দ্বিতীয় কলামে তৃতীয় প্যারায় তিনি লিখেছেন, ‘... আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী মফিজ চৌধুরী এবং ১০ এপ্রিল ’৭১ মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠকারী অধ্যাপক ইউসুফ আলী...।’ ১০ এপ্রিল ’৭১ মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। সেদিন সেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে শপথ নেন। ১০ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ এক বেতার ভাষণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। এই তারিখগুলো যেহেতু আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই আমার এই অবতারণা।
রাশেদুর রহমান
কলাবাগান, ঢাকা।
অপব্যয়ের মহোৎসব
আমাদের দেশের একশ্রেণীর লোক এখন মাত্রাতিরিক্ত ভোগবিলাসের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বিবাহ-শাদিতে অধিক ব্যয়, বেশি মূল্যের টাইলস ও ফিটিংস দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো, বিলাসবহুল গাড়ি (প্রাইভেট কারই যানজটের মূল কারণ) ও দামি আসবাব, কোমল পানীয়, টিস্যু পেপারের ব্যবহার এবং অধিক মূলের পোশাক-পরিচ্ছদসহ অনেক কিছুতেই অপব্যয় করে চলেছে। এদের ভোগের খায়েস মেটাতে বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যদ্রব্য উৎপাদনে দেশে অনেক কলকারখানা গড়ে উঠেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, আরিচা—যেদিকেই যাওয়া যাক না কেন, হাজার হাজার একর ফসলি জমি দখল করে এসব কলকারখানা তৈরি হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার মণ শস্য উৎপাদন হতে পারত সেখানে আজ বিলাসদ্রব্যের কারখানা।
দেশের খাদ্যদ্রব্য-অভাবের এ দুঃসময়ের জন্য এরাও কম দায়ী নয়। গত সরকারগুলো এ বিষয়টির ওপর নজর দেয়নি। কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বর্তমান সরকার কি এ ব্যাপারটি দেখবে? আল্লাহ মালুম!
জাহাঙ্গীর চাক্লাদার
লালবাগ, ঢাকা।
ঢাকায় জনজীবন
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট-এর প্রতিবেদনে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী বিশ্বের দ্বিতীয় শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনের সত্যতা ঢাকাবাসী প্রতিদিনই টের পাচ্ছে। আবাসন, নাগরিকসেবা, নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা সব দিক থেকে ঢাকার পরিস্থিতি অবনতির দিকে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা নগরও বটে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জনবহুলতার কারণে মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প তার হুঁশিয়ারি জানান দিয়ে যাচ্ছে।
সবারই প্রত্যাশা থাকে, তার দেশের রাজধানী হবে বাসযোগ্য এবং আধুনিক একটি শহর। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিপর্যস্ত রাজধানী বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। দুর্বল স্থাপনা, দুর্বল অবকাঠামো এবং অদক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা এত বিপন্ন। ঢাকার বর্তমান অবকাঠামোয় বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকট তো আছেই। সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো যানজট। যানজটে থমকে যাচ্ছে নগর।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত কমাতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণ করে আবাসন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে থানা ও জেলা শহরগুলোতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ভূমি দখল, জলাশয় ও নদী ভরাট এবং পরিবেশ দূষণের মতো ক্ষতিকর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
সাধন সরকার, শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্স
নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র আউটডোর চিকিৎসার পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা যেমন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে স্যালাইন, শ্বাসকষ্টের রোগীকে নেবুলাইজার এবং জরুরি প্রসূতিসেবা দিয়ে থাকে। এসব চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য নার্সের প্রয়োজন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী, ফার্মাসিস্ট, এফডব্লিউভির পদ থাকলেও নার্সের পদ সৃষ্টি হয়নি। অথচ নার্স ছাড়া চিকিৎসাসেবা প্রদান চিন্তাই করা যায় না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। হাসপাতালগুলো নারী ও শিশুবান্ধব করা সময়ের দাবি। নারী ও শিশুবান্ধব করতেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্স নিয়োগ করা প্রয়োজন। নার্স নিয়োগ করলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়িয়ে আন্তবিভাগ চালু সম্ভব হবে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা কার্যক্রম পূর্ণতা পাবে। বর্তমান মহাজোট সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কমপক্ষে দুজন নার্সের পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নার্স নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
ডা. সাইফুল আযম সাজ্জাদ
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা
আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
‘আমাদের প্রত্ন সম্পদ আমাদের অহংকার’ প্রসঙ্গে
মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় খোলা চিঠি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।