ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা বাতিলের (কোয়াশমেন্ট) আবেদন জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আহমেদ আকবর সোবহান। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে না-মঞ্জুর হওয়া মামলা দুটিতে জামিন চেয়েছেন তিনি। তাঁর পক্ষে গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর বেঞ্চে এসব আবেদন করা হয়। এ আবেদনগুলোর ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর
দেশের অন্যতম শিল্পোদ্যোক্তা আহমেদ আকবর সোবহান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার পাঁচটি মামলায় ঢাকার দুটি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তিনটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। অপর দুটি মামলার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের এখতিয়ার না থাকায় জামিন না-মঞ্জুর হয়। তবে আদালত অপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে আহমেদ আকবর সোবহানকে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পর দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা হতে থাকে। এ অবস্থায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পাঁচটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়। পরে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতেই ওই সময় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারে একটি মামলায় পাঁচ বছর ও অপরটিতে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় এক অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বসুন্ধরা চেয়ারম্যানকে এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আহসানুল করিম, খায়রুল আলম চৌধুরী, শেখ হেমায়েত হোসেন, গাজী শাহ আলম, ফারজানা খান, শফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।