বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বড় মাপের ব্যক্তিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আইনপ্রয়োগ বা যেকোনো ফ্রেমে বন্দী করে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে সংবিধানে সংযোজন করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, সরকার কোনো কৌশল করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম পরিবর্তন করলে পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা পরিবর্তন করবে।
স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে দেশের অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে এবং দেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো তরান্বিত হতো।
আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কখনোই গণতান্ত্রিক আচারণ পাওয়া যায়নি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভাজন করে আওয়ামী লীগ মূলতঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করেছে।
স্বাধীনতার ঘোষক প্রশ্নে মওদুদ বলেন, ‘আমরাতো গত জাতীয় সংসদে (সংবিধান পরিবর্তন করে) এমন করতে পারতাম, কারণ আমরা মেজরিটি ছিলাম। আমরা মনে করি, (স্বাধীনতার ঘোষক) এটা উপলব্ধির ব্যাপার, অনুভূতির ব্যাপার, দেশের মানুষের সেন্টিমেন্টের ব্যাপার। এগুলো কি আইন করে কার্যকর করা সম্ভব হয়?’
বঙ্গবন্ধুকে আমরা ছোট করতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করবো জিয়াউর রহমানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যেন একই আচারণ করে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, এমকে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।