সংবিধান সংশোধনের জন্য সরকারের বিশেষ কমিটিকে অবৈধ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, ওই কমিটিতে বেগম খালেদা জিয়ার যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত “অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত দু’তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে তার মতামত নেবে সংক্রান্ত খবরের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমকে আনোয়ার বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনে বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে কমিশন গঠন করা যেতে পারতো। কিন্তু সেটি না করে একটি বিশেষ কমিটির নামে সরকার এক দলীয় একটি কমিটি করে সেখানে মতামত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমি মনে করি, এ কমিটিটাই অবৈধ। এ অবৈধ কমিটিতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না’।
সংবিধান সংশোধন কোনো লুকোচুরির বিষয় নয় দাবি করে এমকে আনোয়ার আরো বলেন, সংবিধান সংশোধন করতে রাস্তায় আসুন। প্রয়োজনে গণভোট দিন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কিনা তা জনগণই ঠিক করবে।
শেয়ার কেলেঙ্কারির বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের গড়িমসির সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা প্রশ্ন করেন, শেয়ার কেলেঙ্কারির যারা জড়িত তারাই কি অর্থমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছে? আর যে কারণে তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে আসা শেয়ার কারসাজির হোতাদের নাম প্রকাশ করতে চান না।
তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি- আওয়ামী লীগ ‘৭২ এর সংবিধানে কোনদিনও ফিরে যেতে পারবে না এবং ৫ম সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিল করতে পারবে না। কারণ, ’৭২ এর সংবিধান সংশোধন করেই ভারতকে বেরুবাড়ি দেওয়া হয়েছিলো। ‘৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে হলে বেরুবাড়ি ফেরত আনতে হবে।’
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর রফিকুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।