আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ করেছে বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদের বেসরকারি সদস্য দিবসে উত্থাপিত কমিটির চতুর্থ প্রতিবেদনে ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) বিল-২০১১’ এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি দলের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত আইনে প্রথম অভিযোগ দাখিলের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো অপরাধের তদন্ত শেষ এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমার ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারের প্রক্রিয়া শেষ করার কথা বলা হয়েছে। হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হলে অন্যূন পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মৃত্যুর ঘটনায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও কমপক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালে নিউইয়র্কে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার অথবা দণ্ডবিরোধী একটি সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর অন্তর্ভুক্তি দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই সনদের অংশীদার হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। জনগণকে বিভিন্ন অজুহাতে সরকারের প্রশাসনযন্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি নিরাপত্তা হেফাজতেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করার কথা থাকলেও দিনের পর দিন থানাহাজতেই আসামি বা অভিযুক্তকে রাখা হয়।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।