চট্টগ্রাম নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ৬৯ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ এই অভিযান চালিয়ে নগরের আলমাস সিনেমা হলের কাছে গুলশান ক্লাবে গোপন বৈঠক করার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানের সন্ত্রাসী এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামে গুলশান কমিউনিটি সেন্টারে গোপন বৈঠকের সময় গ্রেপ্তার হওয়া সাকা চৌধুরীর সমর্থকেরা।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারী নীতিসহ সরকারের বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার কৌশল নির্ধারণ এবং সাকা চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে গোপন বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি যাচাই করে দেখছি। কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলাও আছে।’
কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক সোলায়মান বলেন, ‘অধ্যাপক কুতুবউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তিন ঘণ্টার জন্য ক্লাব ভাড়া নেন। বণিক সমিতির ব্যানারে সভা হবে বলে আমাদের জানানো হয়। আর উপস্থিতির সংখ্যা ১৫০ জন হতে পারে। কিন্তু এটা যে রাজনৈতিক কর্মসূচি তা আমাদের জানা ছিল না। ’
এর আগে ৮ মার্চ সন্ধ্যায় সাকার মুক্তির দাবিতে পোস্টার ও প্রচারপত্র ছাপানো ও তা বিভিন্নস্থানে বিলির অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ নগরের আন্দরকিল্লা থেকে মাহমুদুল হাসান নিজামী ও মো. এনামুলকে আটক করে। ওই পোস্টার ও প্রচারপত্র সাকা চৌধুরীর ছবির নাকে মুখে লাল রং দিয়ে রক্তাক্ত দেখানো হয়। পোস্টারগুলো বের করা হয় ইংরেজি হরফে। মিথ্যা অভিযোগে সাকাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তাতে উল্লেখ ছিল। আর সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারমূলক বক্তব্য ছিল।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।