দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃস্বপ্ন!

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বৃষ্টির মতো বোমা বর্ষণ দেখেছে জাপান, দেখেছে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এখনো বেঁচে আছেন অনেক মানুষ। গত শুক্রবার প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প-সুনামি আর এর পর থেকে ফুকুশিমায় ঘনিয়ে উঠতে থাকা পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই দুঃস্বপ্ন ফিরিয়ে এনেছে প্রবীণদের চোখে।

৬৬ বছর আগে হিরোশিমায় আণবিক বোমার আঘাত সয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে টিকে ছিল একটি উপাসনালয়ের এই প্রবেশ
৬৬ বছর আগে হিরোশিমায় আণবিক বোমার আঘাত সয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে টিকে ছিল একটি উপাসনালয়ের এই প্রবেশদ্বারটি (বাঁয়ে)।
গত শুক্রবার সুনামি আঘাত হানার পর যেন একই দৃশ্যের অবতারণা ঘটে ওত সুচি গ্রামে।

উত্তর-পূর্ব উপকূলে জেলেদের ছোট গ্রাম ইয়ুরিয়াগেতে বাস করেন ৭৫ বছর বয়সী হিরোসাতো ওয়াকোর। একটি ভূমিকম্প ও সুনামিতে উপকূলের আর পাঁচটি গ্রামের মতো ওই গ্রামেও ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে গেছে। বাড়িঘর এখন ন্যাড়া লোহার কঙ্কাল। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া শিকের সঙ্গে ঝুলে আছে মরদেহ। এই দৃশ্য দেখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃস্বপ্নই বারবার ফিরে আসছে ওয়াকোর মনে।
উত্তর-পূর্ব উপকূলের সবচেয়ে বড় শহর সেন্দাইয়ে মিত্রবাহিনীর বোমা বর্ষণের কথা উল্লেখ করে ওয়াকো বলেন, ‘সেন্দাইয়ে বোমা বর্ষণের সময় আমি এই শহরেই ছিলাম। কিন্তু ভূমিকম্প-সুনামির পর যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখছি, তা আরও ভয়ংকর।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। এর তিন দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফেলা হয় আরেকটি পারমাণবিক বোমা। হিরোশিমায় ৭০ হাজার এবং নাগাসাকিতে ৭৫ হাজার মানুষ মারা যায় তাৎক্ষণিকভাবে।
এবার ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বায়ুমণ্ডলে, যা হয়তো দীর্ঘদিন ধরে ভোগাবে মানুষকে, যেমনটা হয়েছে হিরোশিমা-নাগাসাকির পর। ডেইলি মেইল।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য