প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো পক্ষে বক্তব্য পাঠ করলেই ঘোষক হওয়া যায় না। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনকারী জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক হতে পারেন না।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বক্তব্য পাঠ করলেই ঘোষক হওয়া যায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেডিও-টেলিভিশনে অনেক উপস্থাপকই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষণা পাঠ করার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে যান না।’
ঘোষক হওয়ার জন্য রাজনৈতিক স্বীকৃতি ও অধিকারের প্রয়োজন রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য জনগণের ম্যান্ডেট একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই ছিল।’
যারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যদি সত্যিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন তাহলে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করলেন কেন? বন্দি থাকা যুদ্ধাপরাধীদের কেন ছেড়ে দিলেন? স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করলেন কেন?’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের শাসন আমল থেকেই দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট শুরু হয়। অস্ত্রের ব্যবহার ও মাদক গ্রহণের তীব্রতা বাড়ে। সেনা শাসকরা নিজেদের স্বার্থে দেশের তরুণ সমাজকে বিপদগামী করে।
তাকে নাস্তিক ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে কীভাবে নাস্তিক বলতে পারেন? প্রতিদিন নামাজ ও কোরআন পড়ে আমি আমার দিন শুরু করি।’
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।