বিপন্ন গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই: বিএনপি নেতারা!

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১১

সরকারকে ফ্যাসিবাদী অ্যাখ্যায়িত করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিপন্ন গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। আর এজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের আদর্শ অনুসরণের তাগিদ দেন তারা।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক সভায় বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মরণে সংগঠনটি এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

http://rtnn.net/newsimage/sec_1/subsec_2/130227977720110408.jpg

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য খোন্দকার দেলোয়ার ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন, তা আজ হুমকির সম্মুখীন। অথচ খোন্দকার দেলোয়ার দেশের সমস্ত মানুষকে গণতন্ত্রের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ১/১১’র চড়ম ক্রান্তিলগ্নে তিনি গণতন্ত্র ও সার্বভৌম্ব রক্ষায় প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন।

তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরাজনীতিকরণ ও রাজনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। আর ১/১১’র সেই নষ্ট সময়ে গণতন্ত্র রক্ষায় রুখে দাঁড়িয়েছিল বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব।

শোককে শক্তিতে পরিণত করে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ যে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের ঘাঁড়ে চেপে বসেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে খোন্দকার দেলোয়ারের মতো নেতা আজ বড়ই প্রয়োজন।

স্মরণসভায় বিএনপি নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেলোয়ারের অসমাপ্ত আন্দোলনকে সফল করতে হবে। এক্ষেত্রে তার সাহসিক ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন তারা।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিভিন্ন সময়ে খোন্দকার দেলোয়ারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিরোধী দল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মিডিয়া এমনকি নিজ দলের ভিতর থেকেও নানা আক্রমণ হয়েছে।

সব কিছুকেই তিনি (দেলোয়ার) সাহসিতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাবেক মহাসচিবের এই সাহসিকতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষায় এ শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, অগণতান্ত্রিক, অনির্বাচিত একটি সরকার এবং অতপর নির্বাচনের নামে ক্ষমতায় এসে অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমে লিপ্ত একটি সরকারের সব ধরনের আক্রমণ ছিল দেলোয়ারের বিরুদ্ধে। স্মরণ সভা থেকে তার সেই আক্রমণের জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সবাইকে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সম্পদ আহরণের প্রতিযোগিতায় নামেননি। তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা।’

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক আমলে অনেকেই কারাবন্দি হয়ে নির্যাতনের শিকার হলেন। সেই সময়ের নায়কদের কোনো বিচার হলো না।

তিনি বলেন, যারা বিচারের ব্যবস্থা করল না, ভবিষ্যতে তাদের বিচার যেন হয় তার ব্যবস্থায় আজকের স্মরণসভা থেকে শপথ নিতে হবে।

স্মরণ সভায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, খোন্দকার দেলোয়ারকে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন সততা, নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে তার সেই দায়িত্ব পালন রাজনীতিকদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আয়োজক কমিটির আহবায়ক দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক ড. ছদরুল আমিন, কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য