নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর কাজ বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দু’ভাইসহ চার নির্মাণ শ্রমিক। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের মুহুরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কেওচিয়া গ্রামের জনৈক কবির আহমদের ছেলে শওকত (২৫) ও সোহেল (২৩), একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮) এবং লোহাগাড়ার পদুয়া গ্রামের নূরুল আমিনের ছেলে খোরশেদ আলম (২৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিকেল ৫টার দিকে ট্যাঙ্কের ঝাঁপি খুলে প্রথমে সোহেল ভেতরে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সোহেলের খোঁজে বড় ভাই শওকত ট্যাংকের ভেতরে নামার পর তিনিও অজ্ঞান হয়ে যান। এভাবে একে একে চার জনই সেফটি ট্যাঙ্কে ঢুকে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
নিহতরা জনৈক ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন। শনিবার বিকেলে নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের ভেতর চূড়ান্ত পলেস্তরা দেওয়ার কথা ছিল।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেফটি ট্যাংকের দেয়াল ভেঙে চার শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাঙ্কটির প্রাথমিক নির্মাণ কাজের পর দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ থাকায় সেখানে বিষাক্ত গ্যাস জমে। সেই গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা খালেদ হোসেন জানিয়েছেন, পাঁচ রাজমিস্ত্রী ওই ভবনে কাজ করছিলেন। সেখান থেকে চার শ্রমিক ট্যাঙ্কের ভেতর নামলে চার জনেই মারা যায়।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।