অস্ট্রেলিয়া নয়, এক শেন ওয়াটসনের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। অসি এই অলরাউন্ডারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২২৯ রানও মামুলি হয়ে যায়। ১৪৪ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
ওয়াটসন এক ইনিংসে ছক্কা মারার নতুন রেকর্ড গড়ে ১৫ ছয় ও সমান সংখ্যক চারে ১৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া এই দানবীয় ইনিংস খেলতে তিনি মাত্র ৯৬ বল ব্যবহার করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যক্তিগত সর্ব্চ্চে ১৮১ রানের রেকর্ড এতদিন দখলে ছিল ম্যাথু হেইডেনের।

এরআগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মারার রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডজের জাভিয়ার মারশালের দখলে। কিংস সিটিতে ২০০৮ সালে কানাডার বিপক্ষে ১৫৭ রানের ইনিংসে তিনি ১২টি ছক্কা মেরেছিলেন। এছাড়া শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি এক ইনিংসে ১১টি করে ছক্কা মেরেছেন ১৯৯৬ সালে।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের একমাত্র পতন হওয়া উইকেটটি পান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৬১ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হওয়ার আগে ওয়াটসনের ওপেনিং পার্টনার ব্রাড হাডিন ১৯ বলে এক চারে ৮ রান করেন। আর বাকি রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ৪২ বলে ২ চার ও এক ছয়ে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে অধিনায়ক সাকিবই যা একটু সমীহ কুড়িয়েছেন ওয়াটসনদের কাছ থেকে। তিনিই এই ম্যাচে একমাত্র বোলার যিনি ওভার প্রতি ছয়ের কম রান দেন। তার ৭ ওভার থেকে ৩৫ রান নেয় অসিরা। আর সবচেয়ে খরচে বোলার সোহরাওয়ার্দী শুভ। ৩ ওভারে তিনি দেন ৪৬ রান। এছাড়া শফিউল ইসলাম ২ ওভারে ২৭, আব্দুর রাজ্জাক ৭ ওভারে ৫৮, রুবেল হোসেন ৬ ওভারে ৫৭ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক ওভারে ৯ রান দেন।
এরআগে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া বাংলাদেশ মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৮১ এবং শাহরিয়ার নাফিসের ৫৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২২৯ রান করতে সমর্থ হয়।
প্রথম ম্যাচে ৬০ রানের জয়ের পর এই জয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২-০ তে এগিয়ে সিরিজ জয় করলো।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।